• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

৩ দিনের রিমান্ডে ইরফান ও সহযোগী জাহিদ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২০  

ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের মেজ ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার সহযোগী জাহিদকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের গ্রেপ্তার দেখানো-পূর্বক সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর এ বিষয় শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মেজ ছেলে ও দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মামলার পর ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিমের পুরান ঢাকার দেবীদাস ঘাটের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। সোমবার দুপুরে ওই বাড়ি ও তার ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের কার্যালয়ে চালানো অভিযানে অবৈধ অস্ত্র, ইয়াবা, ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

অবৈধভাবে রাখা বিপুল সংখ্যক ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ পাওয়া যাওয়ায় ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান, গাড়িচালক, দেহরক্ষীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খান। এজাহারের বরাত দিয়ে ধানমণ্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন্নাহার জানান, মামলায় চারজনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাত আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। ওই চার আসামি হলেন মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ, হাজী সেলিম ও মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর, জখম ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।