• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

২১১৬ কোটি টাকায় নির্মিত হবে সিলেট বিমানবন্দরের টার্মিনাল

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২০  

২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। রোববার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ কাজের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন, একটি কার্গো ভবন, আধুনিক এটিসি টাওয়ার, ট্যাক্সিওয়ে ও অ্যাপ্রোন এবং আধুনিক ফায়ার স্টেশন স্থাপন সম্ভব হবে। এর ফলে বিমানবন্দরের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬ লাখ থেকে ২০ লাখে উন্নীত হবে।

চুক্তিপত্রে বেবিচকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বেইজিং আরবান কন্সট্রাকশন গ্রুপের পক্ষে বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড হ্যারল্ড হুয়াং। প্রকল্পের কাজ শেষ হতে দুই বছর ৯ মাস সময় লাগবে।

বেবিচক জানায়, লন্ডন, ম্যানচেস্টারসহ বিভিন্ন আন্তরিক গন্তব্যে ফ্লাইটের কারণে জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এছাড়া আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য সিলেটের অসংখ্য মানুষ বিদেশে বসবাস করেন। ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা পূরণে এই টার্মিনাল ভবন নির্মাণের দাবি উঠেছিল।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের একটি দূরদর্শী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

তিনি বেইজিং আরবান কন্সট্রাকশন গ্রুপকে বেবিচকের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে স্বাগত জানান। প্রতিষ্ঠানটি সিলেটে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন ও দৃষ্টিনন্দন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হ্যারল্ড হুয়াং বেইজিংসহ বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি সিলেটে দৃষ্টিনন্দন অত্যাধুনিক মানের স্থাপনা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেবিচক ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।