• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে তৈরি হবে আমিরাতের অর্থনৈতিক অঞ্চল

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২০  

 

২০২৩ সালের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবে বাংলাদেশ। আবু ধাবিতে চলমান টেকসই উন্নয়ন সপ্তাহে অংশ নিতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতাকারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার জমি দিতে প্রস্তুত। আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী আরব আমিরাত সফরে গিয়ে এই প্রকল্প নিয়ে আলাপ শুরু হয়েছিলো দুই দেশের। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি। জমির ইজারা ও ডেভেলপার কোম্পানি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানিযোগ্য হালাল পণ্য উৎপাদনই এই অঞ্চলের মূল উদ্দেশ্য হবে। আর কৃষিজাত পণ্যের ওপরও নজর দিবো আমরা। মূলত আরব আমিরাতের চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই পরিকল্পনা হবে।

এছাড়া কক্সবাজারের মাতারবারি এলাকাতেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, এই চুক্তির কারণে স্বল্পখরচে আরব আমিরাত তাদের অঞ্চল গড়ে তুলতে পারবে। বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগ করবে। এতে করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।

আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক

২০১৯ সাল থেকেই আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। সেসময় আমিরাতের বিনিয়োগকারী বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, বন্দর ও অবকাঠামো উন্নয়নে ১ হাজার কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। 

বাংলাদেশি প্রবাসীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে বাংলাদেশিরা সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি ব্যবসা পরিচালনা করে যেখানে কাজ করে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। 

২০১৯ সালে তৃতীয় বারের মতো আমিরাতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাঁচ দিনের সফর শেষে দিতে গত নভেম্বরে দুবাই এয়ার শোতেও অংশ নেন।  তিনি বলেন, ‘আমিরাত অনেকদিন ধরেই আমাদের বন্ধু দেশ। বিমানে মাত্র পাঁচঘণ্টা লাগে সেখানে যেতে। তাই আমি সুযোগ পেলেই এখানে আসি।’ 

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা

র্ব্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাতলাখ বাংলাদেশি বসবাস করছে। মালয়েশিয়ার পর সেখানেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশির বসবাস। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশিদের জন্য সেখানে ভিসা পাওয়া কঠিন ছিলো না। ঢাকায় অবস্থিত আমিরাতের দূতাবাসের হিসেব অনুযায়ী ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৪৯ জন সেখানে গিয়েছেন যাদের মধ্যে ৪৯৫ জনই চাকরি ভিসায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ আমাদের নিশ্চিত করেছে যে বাংলাদেশিদের জন্য তারাসব ধরনের ভিসা সুবিধা চালু করবে। বাংলাদেশিরা আমিরাতে তাদের পেশাদারিত্ব ও পরিশ্রমের মাধ্যমে উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এতে করে দেশটির শ্রমবাজারে চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশিদের।

প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্ড

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ চলছে। শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনেই তারা ভোট দিতে পারবেন। এর আগ পর্যন্ত বিদেশ থেকে ভোট দিতে পারবেন না তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২৬২টি আবেদন জমা পড়েছে আমাদের কাছে। এটা একদমই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।