• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

২০২১ সালে ৫ সেট ট্রেন দিয়ে ট্রায়াল শুরু হবে মেট্রোরেলের

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২০  

মেট্রোরেলের ২ সেট কোচ নির্মাণ শেষ হয়েছে। জাপানের কারখানায় ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে আরও ৩ সেট কোচ। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আসছে বছরের শুরুতে এই ৫ সেট ট্রেন দিয়ে তারা ট্রায়াল রান শুরু করতে চান। এ লক্ষ্যে মেট্রোলাইনের প্রথম ৩টি স্টেশন প্রস্তুত করার কাজও চলছে দ্রুতগতিতে।

জাপানের কাওয়াসাকিতে যখন মেট্রোরেলের তৈরি দুটি কোচের ফ্যাক্টরি ট্রায়াল চলছে, তখন এমন কর্মব্যস্ততা মেট্রোলাইনের ডিপো এলাকায়। এখান থেকেই প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে চলাচল শুরু করবে মেট্রোরেল।

মধ্যরাতের বিরতিতে হবে ধোয়ামোছা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে ওয়ার্কশপ, স্ট্যাবলিং শিল্ড। বসে গেছে ডিপো এলাকার ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৫ কিলোমিটার রেললাইন। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখান থেকেই তারা মেট্রোর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু করতে চান। কিন্তু দেশের মাটিতে কবে পৌঁছবে মেট্রোরেল।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম, এ, এন, ছিদ্দিক বলেন, ডিসেম্বরের পরপরই এ বিষয়ে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব। পরে যে ফরমালিটিস আসে সেটা করে আমরা নিয়ে আসব। জাপান অ্যাম্বাসি কিন্তু কাজ শুরু করেনি। যদি দেখি ডিসেম্বরের পরেও কোনও পরিস্থিতির পরিবর্তন না হয় সেক্ষেত্রে আমরা বিশেষ উদ্যোগ নেব।

উত্তরা থেকে আগারগাঁও উড়ালপথ নির্মাণে যে কয়েকটি ভায়াডাক্ট বা ব্যালান্স ক্যান্টিলিভার বসানোর কাজ বাকি ছিল তাও শেষপর্যায়ে। দূর থেকেই দেখতে পাওয়া যায় মেট্রোরেলের ৩টি স্টেশন।

দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উড়ালপথের ওপর রেললাইন বসানোর কাজও। তবে চ্যালেঞ্জও আছে। সংকটাপন্ন না হলেও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন মেট্রোরেলের প্রায় পৌনে ৩০০ কর্মী। একেবারে বয়োজ্যেষ্ঠ যারা, তারা কাজে ফিরতে পারেননি এখনও।

এম, এ, এন, ছিদ্দিক বলেন, খুব বেশি যারা বয়োজ্যেষ্ঠ তারা এখন বাংলাদেশে আসতেছেন না। সফিসটিকেডেট সফটওয়্যার আমরা ব্যবহার করি যার মাধ্যমে কাজের সুপারভিশনটাও বাইরে থেকে করা যায়। সীমিত কয়েজনের জন্য কাজে কোনও বাধাগ্রস্ত হবে না। আমাদের যে টার্গেট আছে সে টার্গেট আমরা অর্জন করতে পারব।

ডিএমটিসিএল বলছে, উত্তরা থেকে আগারগাঁও প্রথম অংশের কাজের অগ্রগতি ৭৭ শতাংশের বেশি। সফটওয়ার, সিস্টেমসহ ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল অংশ নিয়ে প্যাকেজের কাজও শেষ হয়ে গেছে অর্ধেক।