• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১২ দিনেই এক বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২০  

করোনাভাইরাস মহামারির চলমান সংকটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাসের ১২ দিনেই ১০৬ কো‌টি ৬০ লাখ (এক দশমিক শূন্য ৬৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ৮৪ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ আট হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের ইতিহাসে একক মাসের মাত্র ১২ দিনে এর আগে কখনো এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জুলাই থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮৯ কো‌টি ১০ লাখ ডলার (৯.৮৯১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার।

যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এই একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬৮৯ কো‌টি‌ ৭০ লাখ (৬.৮৯৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে সারাবিশ্ব। এই সময়টাতে রেমিট্যান্সযোদ্ধারা কষ্ট করে অর্থ প্রেরণ করে আমাদের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে চালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্স তথা প্রবাসীআয় পাঠালে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এর পরপরই রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করলে অনেকই বলা শুরু করলেন এগুলো ঠিক নয়, থাকবে না, টেকসই নয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস যখন অসাধারণ এবং অবিশ্বাস্য গতিতে রেমিট্যান্স অর্জিত হচ্ছিল তখন কর্মীরা তাদের কাজকর্ম বা ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে আসছেনসহ বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুরু করলেন। সেই সমস্ত লোকের সাথে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও তাল মিলিয়ে বলতে শুরু করল এ প্রবাহ ঠিক নয়, টেকসই হবে না।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রণোদনা ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির যে প্রবাহ, তাতে তাদের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং আমরা যে সঠিক ছিলাম আরও একবার তা প্রমাণিত হলো। চলতি নভেম্বরের ১২ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীআয় এসেছে এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি, যা দেশের ইতিহাসে মাত্র ১২ দিনে কখনও অর্জিত হয়নি। গড়ে প্রতি মাসে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে প্রবাসী আয় অর্জন এটি ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।