হুমায়ূন আহমেদের মতো প্রতিভা আমার নেই: সমরেশ মজুমদার
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
বাংলা সাহিত্যের বিপুল জনপ্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার। গত অর্ধ শতাব্দী ধরে অবিরাম লিখে চলেছে তার কলম। আজও এ লেখকের নতুন বইয়ে ভক্তদের মাঝে উন্মাদনার সৃষ্টি করে।
সদ্য সমাপ্ত কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় সমরেশের নতুন বইয়ের প্রকাশনা ঘিরেও একই চিত্র দেখা যায়। এ মেলায় প্রকাশনা সংস্থা মিত্র অ্যান্ড ঘোষ থেকে বের হয় সমরেশ মজুমদারের বই ‘নদীর ধারে বাস’। এ উপলক্ষে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মেলায় ঘুরতে যান লেখক। আর সঙ্গে সঙ্গেই পড়ে যান অটোগ্রাফ শিকারীদের খপ্পরে। তাকে ঘিরে উপচে পড়ে ভক্ত, উৎসাহীদের ভিড়।
এদিনই এক ফাঁকে লেখক জীবন, বর্তমান সাহিত্যজগত নিয়ে কথা বলেন
প্রশ্ন :প্রথমেই জানতে চাই, কেন লেখক হলেন?
সমরেশ মজুমদার: আমি তো লেখক হতে চাইনি। আমাকে লেখক করা হয়েছে।
প্রশ্ন :তাই নাকি! কে বা কারা আপনাকে লেখক বানালেন?
সমরেশ মজুমদার: আমি নাটক লেখতাম। কিন্তু নাটক করার জায়গা পাওয়া যেত না। এর মধ্যে একজন আমাকে বললেন, তুমি নাটকটাকে গল্প করো। তাই করলাম। গল্পটা ছাপা হলো এক নম্বর পত্রিকা ‘দেশ’-এ। এ গল্পের সম্মানী হিসেবে আমাকে ১৫ টাকা পাঠানো হয়েছিল। সেই টাকা পেয়ে আমার বন্ধুদের খুব উৎসাহ। তখন কফির দাম ছিল মাত্র আট আনা। তো বন্ধুরা দুই দিন ধরে কফি খেলো। খেয়ে আমাকে বারবার বলতে লাগলো, আরও গল্প লিখতে। এভাবেই আমি লেখক হয়ে উঠলাম।
প্রশ্ন : আপনার উপন্যাসত্রয়ী ‘উত্তরাধিকার’, ‘কালবেলা’ ও ‘কালপুরুষ’ সম্পর্কে কিছু বলুন। কেন লিখলেন এত বড়-বড় সব উপন্যাস?
সমরেশ মজুমদার: খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন। আমি ছোটগল্প লিখেছি আট বছর। উপন্যাস নিয়ে কখনও ভাবিনি। তখন ‘দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক আমাকে উপন্যাস লিখতে বললেন। আমি তাকে সরাসরি না বলে দিই। পরে তিনি আমাকে বললেন নিজেকে নিয়ে লেখো। তো নিজেকে নিয়ে লেখা যেমন সহজ, তেমনই কঠিন। আমি আমার দেখা মানুষদের নাম পাল্টে দিয়ে লেখা শুরু করলাম। প্রকাশও পেলো। পরে ২০১৩ সালে এর আরেকটি অর্থাৎ চতুর্থ খণ্ড ‘মৌষলকাল’ও প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন :আপনার ‘সাতকাহন’ উপন্যাসটি খুবই জনপ্রিয়। এটি লেখার প্রেক্ষাপট কি ছিল?
সমরেশ মজুমদার: আমি চা বাগানে থাকতাম। আমার বাড়ির পাশে এগারো-বারো বছরের একটি মেয়ে ছিল। সে আমাদের খেলার সাথীও ছিল। তো তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। কান্না করতে করতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছি। আমরা তার কান্না দেখে প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। মেয়ে চলে গেল। আবার তিনদিন পর ফিরে এলো। বিধবা হয়ে। সেই যে ঘরের ভেতরে ঢুকলো, আর বাইরে এলো না। আমাদের সঙ্গে খেলতেও আসে নাই। এটা আমাকে আঘাত করেছিল। সেই থেকেই ‘সাতকাহন’ লেখার গল্প খুঁজে পাই।
প্রশ্ন :মাঝখানে আপনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন চিকিৎসকরা বলেছিল, আপনি আর লিখতে পারবেন না। তো সেই কঠিন অবস্থা থেকে ফিরে আসার সফরটা কেমন ছিল?
সমরেশ মজুমদার: আমি তো লেখা ভুলেই গিয়েছিলাম। যত দূর মনে পড়ে একদিন লেখালেখি শেষ করে রাতে ঘুমাতে যাই, এরপর ঘুম ভেঙে নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় আবিষ্কার করি। আমি স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাই, কোনোকিছুই মনে করতে পারছিলাম না। চিকিৎসকরা জানালেন, আমি আমার সব কিছুই ভুলে গেছি। এমনকি আমার নিজের নামটাও।
প্রশ্ন :তারপর কি বাসায় ফিরে গেলেন নাকি হাসপাতালেই চিকিৎসা করিয়েছিলেন?
সমরেশ মজমুদার: না, বাসায় চলে যাই। বাসায় ফেরার পর আমার হাতে শিশুদের বর্ণপরিচয় বই ও একটি শ্লেট তুলে দেওয়া হয়। আমি নতুন করে অ, আ আর এ, বি, সি শিখতে শুরু করলাম। সে সময় প্রথমেই নিজের নাম মনে পড়ল। আস্তে আস্তে সব কিছু মনে পড়তে শুরু করল।
প্রশ্ন : লেখক হিসেবে আপনার দ্বিতীয় জীবন কীভাবে শুরু হলো?
সমরেশ মজুমদার: দীর্ঘদিন ধরে আমি ফুলস্কেপ কাগজে প্রতিটি লাইনে ১২টি করে শব্দ লিখতাম। অসুস্থতার পরের অধ্যায়ে যখন পুনরায় লেখা শুরু করি, তখন ৮ থেকে ১০ শব্দ করে ছয় লাইনের বেশি লিখতে পারিনি। ধীরে ধীরে লাইনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। অসুস্থ হওয়ার আগে ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র পূজা সংখ্যায় আমার একটি উপন্যাস লেখার কথা ছিল। অনিশ্চিত হয়ে যাওয়া সেই উপন্যাসটি দিয়েই আমি আবার পাঠকদের কাছে ফিরে আসি।
প্রশ্ন :এখন তো আর কোন সমস্যা হয় না?
সমরেশ মজুমদার: না, এখন আর কষ্ট হয় না লেখার সময়।
প্রশ্ন :আপনি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ৪৭-এর দেশভাগ থেকে ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল নিয়ে একটি উপন্যাস লিখতে চান। এটি আপনার ৩০ বছরের স্বপ্ন। সেটির এখন কী অবস্থা?
সমরেশ মজুমদার : স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে গেছে। এখনও লেখা শুরু করতে পারিনি।
প্রশ্ন :আপনি দেড় শতাধিক উপন্যাস লিখেছেন। এসব উপন্যাসের প্রতিটিরই চরিত্র ও বিষয়বস্তু আলাদা। এটা কীভাবে সম্ভব?
সমরেশ মজুমদার: আমার তো আর কোনো প্রতিভা নেই। হুমায়ূন আহমেদের মতো প্রতিভা আমার নেই। আমি এক সময় ভাবলাম, কীভাবে লেখক হিসেবে আমি জায়গা করতে পারি। তখন বুঝতে পারলাম, এর একটাই উপায় আছে, যদি প্রত্যেকটা লেখা আলাদা করতে পারি। যাতে কোনো পাঠক পড়ে না বলতে পারে, এটা তো আগেই পড়েছি। এটাই আমার বাঁচার একমাত্র পথ।
প্রশ্ন : এই দীর্ঘ লেখক জীবনে অসুস্থতার সময় ছাড়া কখনও আপনার রাইর্টাস ব্লক হয়নি?
সমরেশ মজুমদার: সুস্থ অবস্থায় কখনও হয়নি।
প্রশ্ন : তরুণ লেখকদের লেখার ব্যাপারে কিছু বলুন।
সমরেশ মজুমদার: এদের অবস্থা খুব খারাপ।
প্রশ্ন : কলকাতার পাঠকদের খুব বেশি ইংরেজি বইয়ের দিকে ঝুঁকে যেতে দেখলাম। এর কারণ কি?
সমরেশ মজুমদার: বাংলা বই পাচ্ছে না বলেই ইংরেজি বইয়ের প্রতি পাঠক ঝুঁকে যাচ্ছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। এই যে আমার অটোগ্রাফ নিতে অনেকেই এসেছেন, তাদের মধ্যে কোনো তরুণকে দেখতে পাচ্ছেন? পাচ্ছেন না। কারণ, তারা বাংলা বই পড়ে না।
প্রশ্ন : আপনার অনেক গল্প-উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটক হয়েছে। এতে কী সাহিত্যমান বজায় থাকে?
সমরেশ মজুমদার: আপনি যদি কোনো কিছু জেরক্স (ফটোকপি) করেন তাহলে কি সেটা অরিজিনালের মতো হবে? আমি তো মনে করি, পরিচালক বা প্রযোজককে যখন গল্প-উপন্যাস দেই, তখন মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয় আর কি!
মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পরে বাবা যদি ভাবে, এখন দুপুর ২টা বাজে এখনও মেয়ে ভাত খায়নি, আর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে চিৎকার করে, এখনও কেন আমার মেয়েকে খেতে দেওয়া হয়নি, তাহলে কী হবে? মেয়েকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এ মেয়ের কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে আলাদা জগত হবে। এটাই আসলে গল্প-উপন্যাসকে চলচ্চিত্র-টিভি সিরিজে দেওয়ার মতো ঘটনা।
প্রশ্ন : বিশ্বের নানা ভাষার সাহিত্য নিয়ে আমরা আলোচনা করি। কিন্তু বাংলা সাহিত্যকে নিয়ে কেন এই আলোচনা হয় না। কেনই বা ১৯১৩ সালের পর কোনো বাঙালি সাহিত্যে নোবেল পেল না?
সমরেশ মজুমদার: আমাকে একটা সত্যি কথা বলেন তো, হুমায়ূন (প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ) মারা যাওয়ার পর বা হুমায়ূন বেঁচে থাকতে ইমদাদুল হক মিলন বা আর যারা আছেন তারা কী তার মতো জনপ্রিয়?
প্রশ্ন :না।
সমরেশ মজুমদার: হুমায়ূন মারা যাওয়ার পর কোনো জনপ্রিয় লেখক আসেনি। ভালো লেখক দু’একজন আছে অবশ্য। লেখক যদি জনপ্রিয় না হয় তাহলে সাহিত্যের সুযোগ কম। আপনাদের দেশে যেমন, আমাদের দেশে এটা আরও বেশি।
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- স্বনির্ভর দেশ গড়তে প্রাণী সম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হবে : শামীম
- প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে
- বরিশালে ২০ জেলে ও ২ নৌযান আটক
- গৌরনদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা
- সারাদেশে ইন্টারনেটের ধীর গতি
- ইস্টার্ন ব্যাংকে নারী-পুরুষ নিয়োগ, চাকরির ধরন ফুল টাইম
- কমলো হজের খরচ
- হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ শুরু
- প্রাথমিক শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলি আবেদনের সুযোগ
- চেন্নাইয়ের হার ঠেকাতে পারলেন না মুস্তাফিজ-পাথিরানা
- তীব্র তাপপ্রবাহে প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার সব বিধিনিষেধ তুলে নিলো কুয়েত
- ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিন ধর্ষকের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী
- শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে
- বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- রুমা সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলি, আতঙ্ক
- শান্তিচুক্তির অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরল বাংলাদেশ
- আরও তিন দিন থাকবে তাপপ্রবাহ, কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস
- বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানের প্রতি অনুরোধ
- মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা: জাতিসংঘ
- পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
- সারা দেশে হিট অ্যালার্ট জারি
- হজের আগে ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ জানাল সৌদি
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল বিজয়ী
- বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি
- শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী
- স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- শিবচরে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- মাদারীপুরে চোরাই মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে ব্যাগভর্তি ককটেলসহ একজন আটক
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- কালকিনিতে হাতবোমা বানাতে গিয়ে নিহত ১
- অসত্য কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় না- শাজাহান খান এমপি
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ