• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা একটা ফ্যাশন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২১  

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কোন জায়গায় এক হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বা দুর্নীতি হয়েছে এরকম কোন তথ্য কি দেখাতে পারবে। কেউ এমন তথ্য দিতে পারবে না, অথচ অন্য খাতের কোটি টাকা নিয়ে কানাডায় চলে গেছে। ৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে এ ধরনের কোনো দুর্নীতি ঘটনা ঘটেনি ‘

শনিবার (১২ জুন) করোনাযুদ্ধে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মনোয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা উল্লেখ করে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, করোনা প্রতিরোধের কার্যক্রমে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, লকডাউন, টিকা ক্রয় ও বিতরণে স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় ছিল না। গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন স্বচ্ছতার তথ্য তুলে ধরেন । এমনকি করোনা মোকাবিলায় আগামী দিনের জন্য ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরেছে টিআইবি।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির অভিযোগ তোলা অনেকের কাছেই এখন একটি ফ্যাশন, এটা এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। অথচ বেসরকারি হাসপাতালের টেস্টিং জালিয়াতি, একজন ড্রাইভার বা নিম্নপদস্থ কর্মচারীর দুর্নীতি বা বিচ্ছিন্ন কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে অস্বচ্ছতার খবর ছাড়া কেউ স্বাস্থ্য খাতের বড় কোনো দুর্নীতি দেখাতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে যারাই স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম করেছে, তাদেরই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হয়েছে।

শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রুমে বসে থেকে টিআইবি স্বাস্থ্য খাত নিয়ে মনগড়া সমালোচনা করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে টিআইবি স্বাস্থ্য খাত নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের সকল দেশ বা সংস্থা প্রশংসা করেছে বাংলাদেশকে। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বাংলাদেশকে প্রশংসা করেছে। আমরা করোনা শনাক্ত করতে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে অথচ করোনা শনাক্তে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, তারা (টিআইবি ) বলছে আমরা কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করিনি, শুধুমাত্র করোনা রোগের চিকিৎসার জন্য সারাদেশে ১৫ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কারণে ভারতের মতো এমন পরিস্থিতি তৈরি তৈরি হয়নি, এখনো অনেক দেশ যথাযথভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারেনি কিন্তু বাংলাদেশে এখনও লকডাউন চলমান।

টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ভারতে সাথে আমরা টিকা নিয়ে স্পষ্ট চুক্তি করে ভ্যাকসিন ক্রয় করেছি।

তিনি বলেন, করোনা মধ্যে আইসিইউ বাড়াতে পারেনি বলে টিআইবির যে দাবি করছেন এটা সঠিক নয়, গত বছর সেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ আইসিইউ ছিল সেখানে এখন এক হাজারের অধিক আইসিইউ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টিআরবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা শুধুমাত্র জনগণের কাছে ভুল তথ্য দেয়ার জন্য প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। করোনার জন্য যে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে তার ব্যবহার করা হয়নি এমন তথ্যও সঠিক নয়। আমরা সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি। এমন মিথ্যাচার আমরা গ্রহণ করি না।’

টিকা ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল ছিল এমন অভিযোগ মিথ্যা বল দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকা ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছতা ছিল সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করো না সামনের সারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ মোটেও গ্রহণযোগ্য না।

বসুন্ধরার আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ওটা চালু হলেও ছয় মাসে ছয়টা রোগী হয়েছে। এর পেছোনে লাখ লাখ টাকা ভাড়া দেয়ার কারণে সবার সাথে আলোচনা করে আইসোলেশন সেন্টার থেকে সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অধিদপ্তরের ড্রাইভার থেকে শুরু করে যারা অন্যের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এমনকি ভুয়া রিপোর্টের দেয়ার জন্য সাবরিনা এবং সাহেদকে গ্রেপ্তারর করে আদালতে দেয়া হয়েছে। ভুয়া সনদ দেয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ অন্যান্যারা উপস্থিত ছিলেন।