• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই শতভাগ বিদ্যুৎ: প্রধানমন্ত্রী

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২০  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের ইচ্ছা ছিল মুজিববর্ষেই প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাবো, ইতিমধ্যে ৯৭ ভাগ পৌঁছে দিয়েছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী-২০২১’র মধ্যেই আমরা শতভাগ নিশ্চিত করব।’

তিনি বলেন, ‘কোন জায়গা যাতে অনাবাদি না থাকে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। যেভাবে করতে চান করেন, কিন্তু অনাবাদি জমি রাখা যাবে না। পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে হবে। তাই, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। যেখানে ১ লাখ ২১ হাজার ১৪২টি সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে।’

আজ শনিবার ‘৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২০’ উদযাপন এবং ‘জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালমাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সময়বায়কে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের দারিদ্র, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। যেহেতু আমাদের ভৌগলিক সীমারেখা কম, জনসংখ্যা বেশি, তাই মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাতে ধনী, দরিদ্র, গ্রাম, শহর সবকিছু মিলিয়ে সুষম হতে পারে সে চিন্তা থেকে তিনি সমবায়কে গুরুত্ব দিয়েছেন।’

বঙ্গবন্ধু কৃষি যান্ত্রীকিকরণের কথা চিন্তা করেছিলেন জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের মানুষকে সাহায্য করার জন্য বঙ্গবন্ধু দুগ্ধ খামার, যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সমবায় সমিতি গঠন, ট্রাক, বাস ও থ্রি হুইলারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র কৃষকদের হাতে তুলে দেন। একইসঙ্গে খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য কৃষি, তাঁতীদের জন্য সমবায় এমনকি বিসিক শিল্প নগরী ও কুঠির শিল্প গড়ে তোলেন।’

শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ে জানিয়ে সেখান থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে শীত আসছে। শীতে করোনার প্রকোপ কিছুটা বাড়ে, সেখান থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। আমরা যে স্বাস্থ্য নির্দেশনা দিয়েছি সেগুলো মেনে চলতে হবে। ইউরোপের অনেক দেশ কিন্তু লকডাউন ঘোষণা করেছে, আমরা এখনো করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’

সমবায় সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে জাতির পিতা সমবায়ের কথা বলে গেছেন। বহুমাত্রিক সমবায়ের কথা বলেছেন। একা খাবো- এই মানসিকতা পরিহার করে নিজে খাবো সকলকে নিয়ে খাবো এই মানসিকতা নিয়ে আপনারা কাজ করুন।’

নারীদের সমবায়ে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নারীরা এগিয়ে এলে দুর্নীতি অনেকটা কমে যাবে। পাশাপাশি তাদের পরিবারও অনেক লাভবান হবে।’