• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

সরকারের নীতি সহায়তায় ইতিবাচক রপ্তানি ধারায় বাংলাদেশের ১৬ পণ্য

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২০  

বিশ্বব্যাপী করোনার বিস্তারের বিরূপ প্রভাব বিশ্ববাণিজ্যে। বাংলাদেশর প্রধান রপ্তানি বাণিজ্যেও তাই মন্থর গতি। বিশ্ব বাণিজ্যের এমন নেতিবাচক ধারার মধ্যে ও  ইতিবাচক রপ্তানি ধারায় আছে বাংলাদেশের ১৬ পণ্য। অর্জন করেছে উচ্চ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি।  

তালিকার শীর্ষে আছে ওষুধ, প্রকৌশল যন্ত্রাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্য, শাকসবজি,  চা এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্প । এর মধ্যে ১৩৯ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হার নিয়ে জাহাজ নির্মাণ খাত সবচেয়ে গতিশীল।

এছাড়া  ফলমূলে ৪৮, কাঁচা পাট ১৫, চা ১১, প্রকৌশল যন্ত্রাংশ রপ্তানির ২৬ প্রবৃদ্ধি হয়েছে শতাংশ। ওয়ুষ রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হার ৪ শতাংশের উপরে। জুট ইয়ার্ন অ্যান্ড টোয়াইন, তামাক, চা, কার্পেট, ফার্নিচার ও কারুপণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও উর্ধ্বমূখী।

সরকারের নীতি সহায়তা আর ব্যবসায়ীদের উদ্যম বাংলাদেশের রপ্তানিতে এমন গতি সঞ্চার হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী নেতারা।

এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি দিলীপ কমুার আগারওয়াল মনে করেন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে আমাদের টার্গেট করে কাজ করতে পারলে, কভিড ১৯ এর মধ্যে ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধিকারী ১৬ সেক্টরের মতো করেই অন্যান্য সেক্টরে আয় করা সম্ভব।

বিশ্বে ৩য় সবজি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের রপ্তানি এই পণ্যে আগে থেকেই ভালো। করোনাকালেও প্রবৃদ্ধি উচ্চ। ওষুধ খাতও পিছিয়ে নেই। এমন রপ্তানি চিত্র বিবেচনায় তৈরী পোষাকের উপর নির্ভরশীলতা  কমিয়ে বিকল্প পণ্যও বাজার অনুসন্ধানের তাগিদ আছে বৈদেশিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডাব্লিউটিও সেল)  মুনীর চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেই সব দেশে করোনার সংক্রমন কম সেই সব দেশের সাথে ব্যবসা করতে হবে তবে করোনা পরিস্থিতিতে, গত অর্থবছরেও সামগ্রীক রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৬ শতাংশ কম হয়েছে।