• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

সরকারের নানামুখী উদ্যোগে হালদায় কৌলিতাত্ত্বিক রেণু উৎপাদন বেড়েছে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৯  

 রুই-কাতলা জাতীয় মাছের একটি অনন্য প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। প্রাকৃতিক পোনার উৎস স্থল হালদা নদী রক্ষায় সরকার নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। অনন্য এ প্রজনন ক্ষেত্রের বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সরকার জুলাই ২০০৭ থেকে জুন ২০১৪ মেয়াদে ‘হালদা নদীর প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১০ সালে হালদা নদীর উজানে ফটিকছড়ি অংশের নাজিরহাট ব্রিজ থেকে নদীর ভাটির অংশে হালদা-কর্ণফুলীর সংযোগস্থলসহ কালুরঘাট ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে।
অভয়াশ্রমে সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধকরণ, নদীর তীরবর্তী স্থানে হ্যাচারি স্থাপন, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান, বনায়ন ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নির্বিঘ্নে করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হালদা নদীর অভয়াশ্রম রক্ষায় নিয়মিত অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ২০১১ সাল হতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নয় বছরে হালদা নদী থেকে মোট ৩,৭৫৭ কেজি কৌলিতাত্ত্বিক বিশুদ্ধমানের রেণু উৎপাদিত হয়েছে।
হালদার তীরবর্তী অঞ্চলে ৬টি আধুনিক মৎস্য হ্যাচারি মৎস্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। ডিম আহরণকারীরা এসব হ্যাচারি থেকে উন্নত পদ্ধতিতে ডিম পরিস্ফুটন করে অক্সিজেন সহযোগে দেশের দূর-দূরান্তে রেণু সরবরাহ করা হয়। প্রকল্পটি চলাকালে নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলশ্রুতিতে হালদা নদী হতে রুইজাতীয় মাছের রেণু আহরণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।