• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

সম্ভাবনা জাগাচ্ছে মাশরুম, বছরে ৮০০ কোটি টাকার উৎপাদন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২০  

দেশে দ্রুতই বাড়ছে মাশরুম উৎপাদন। বর্তমানে প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। 

জানা গেছে, দেশে প্রায় দেড় লাখ মানুষ মাশরুম ও মাশরুমজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত রয়েছেন। বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ প্রায় সব দেশেই মাশরুম আমদানি করে থাকে। আর এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায় সরকার। 

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে মাশরুম সেন্টারসহ এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আরো শক্তিশালী করা হবে। এর মাধ্যমে কর্মকর্তা, চাষি এবং উদ্যোক্তাদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাশরুম একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ফসল। একদিকে মাশরুম একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ওষুধি গুণসম্পন্ন খাবার, অন্যদিকে তা চাষ করার জন্য কোনো আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না। তাই এ খাতে সম্ভাবনা দেখছেন তারা। 

এ বিষয়ে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক নিরদ চন্দ্র সরকার বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ ও দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার বাংলাদেশে খাবারের চাহিদা বাড়ছে, অথচ খাবার যোগান দেয়ার জমি প্রতি বছরই কমছে। এ অবস্থায় অনুৎপাদনশীল ফেলনা জমির স্বল্প পরিমাণ ব্যবহার করেই বিপুল পরিমাণ মাশরুম উৎপাদন করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, মাশরুম চাষ পরিবেশবান্ধব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহনশীল। বাংলাদেশের আবহাওয়া সারাবছরই মাশরুম চাষের জন্য উপযোগী। 

এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারী, শিশু, অক্ষম ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণেও মাশরুম বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। মাশরুম চাষ শুরু করার জন্য অধিক পুঁজির প্রয়োজন হয় না বিধায় হতদরিদ্র ভূমিহীন মানুষও মাশরুম চাষ করতে পারেন। 

তারা বলছেন, মাশরুম চাষে অল্পদিনেই ফলন পাওয়া যায় এবং লাভসহ পুঁজি ঘরে আসে। অন্যদিকে মাশরুম একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ওষুধি গুণসম্পন্ন খাবার হওয়ায় সহজেই পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। মাশরুম চাষের মাধ্যমে মানুষের বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানও হতে পারে।  

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাশরুম চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে শিগগিরই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সেজন্য মাশরুম বিষয়ে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের আমরা কাজে লাগাবো। 

তিনি আরো বলেন, দেশে অনেক বেকার যুবক রয়েছে, যারা চাকরির জন্য চেষ্টা করছে। তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা করতে পারলে মাশরুমের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হবে।