• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:

‘সমুদ্রসীমা রক্ষার লক্ষ্যে নৌবাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে’

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২০  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষার লক্ষ্যে নৌবাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে। কারও সাথে যুদ্ধ নয়। তবে আক্রমন মোকাবেলার সামর্থ্য অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ।’

নৌ-বাহিনীতে নতুন ৫টি জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে নতুন এসব জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে গনভবন থেকে যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে সরকার।’ এ সময় নিজস্ব ইয়ার্ডে জাহাজ তৈরি করে প্রতিবেশিদের সহায়তার ইচ্ছের কথাও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে নৌবাহিনীর কর্মকান্ড আরো বাড়বে, এমন আশা জানিয়ে, দ্বিতীয় ধাক্কার করোনা মোকাবিলায় সকল সদস্যকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ নৌবাহিনী তার ক্রমাগত অগ্রযাত্রায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দিনটি শুধু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নয়, সমগ্র দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের।’

এই কমিশনিং-এর ফলে বাংলাদেশের জলসীমা সুরক্ষায় এবং নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করলো নতুন দু’টি আধুনিক ফ্রিগেট বানৌজা ওমর ফারুক, আবু উবাইদাহ ও একটি করভেট যুদ্ধজাহাজ প্রত্যাশা এবং দু’টি জরিপ জাহাজ বানৌজা দর্শক ও তল্লাশী।

এর আগে চট্টগ্রামে বানৌজা ঈসা খান নৌ জেটিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল জাহাজসমূহের অধিনায়কগণের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল গার্ড অব অনার ও প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর ভাষণে আরো বলেন, ‘আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জ্বিত দুইটি ফ্রিগেট ও একটি অত্যাধুনিক করভেট এবং আমাদের নিজস্ব খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরী দুটি আধুনিক জরিপ জাহাজ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নৌবাহিনীর ক্ষমতাকে আরও জোরদার করবে এটাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’

‘ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে নৌ বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সদ্য সংযোজিত হওয়া নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট ‘ওমর ফারুক’ ও ‘আবু উবাইদাহ’র দৈর্ঘ্য প্রতিটির ১১২ মিটার ও প্রস্থ ১২ দশমিক ৪ মিটার এবং করভেট যুদ্ধজাহাজ বানৌজা প্রত্যাশার দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার ও প্রস্থ ১১ দশমিক ১৪ মিটার।

যুদ্ধজাহাজগুলো ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম এবং এতে শক্রু বিমান, জাহাজ এবং স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপনযোগ্য মিসাইল, অত্যাধুনিক থ্রিডি রাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, রাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরণের যুদ্ধ সরঞ্জামাদিতে সুসজ্জিত।
সূত্র : বাসস