• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

সংসদে যেতে রাজি বিএনপির ৫ এমপি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০১৯  

একাদশ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী ৫ এমপি শপথ নিতে চান। যেতে চান সংসদে। কথা বলতে চান বিরোধী দলের ভূমিকায়। ওই ৫ এমপিকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

সোমবার রাত ৯ টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। এতে বিএনপি থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিরা মহাসচিবের কাছে জানতে চেয়েছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কী করা হচ্ছে? দল কী করছে? তারা বলেছেন, দলের শীর্ষ নেতারা কী করছেন, তা তারা বুঝতে পারছেন না।

বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে নির্বাচিত এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, আমাদের ডেকেছিলেন মহাসচিব। কিছুদিন ধরে পত্রপত্রিকায় আমাদের শপথ নেয়া প্রসঙ্গে নানা খবর প্রকাশ ও প্রচার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। যাতে আমাদের কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে না যান।

হারুন বলেন, আমাদের কয়েকজন আগে এমপি মন্ত্রী হয়েছেন। আবার কয়েকজন এবারই প্রথম নির্বাচিত হয়েছেন। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের ওপর এলাকার মানুষের চাপ আছে, এটাও সত্য। কেউ কেউ তাদের বক্তব্যে সেটা তুলে ধরেছেন। কিন্তু আমরা নির্বাচিত হয়েছি দলীয় প্রতীকে, দলের সমর্থনে। এখানে দলের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন পর্যন্ত একমত যে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেব না।

তবে দিনাজপুর থেকে নির্বাচিত ধানের শীষের এমপি জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শপথ নেয়া ও সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে এলাকার মানুষের চাপ আছে। সেটা তিনি মহাসচিবকে জানিয়েছেন। সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে তার আগ্রহের কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, এখনো ১৫ দিন সময় আছে। দল এরইমধ্যে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে পারে। দল সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে, নিজেরা বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নির্বাচিত এমপি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াও তার ওপর এলাকাবাসীর চাপের কথা তুলে ধরেছেন। তবে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে যাবেন বলেও অঙ্গীকার করেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া-৪ থেকে নির্বাচিত মোশাররফ হোসেন বলেন, শপথের প্রসঙ্গে নেত্রী মুক্তি পেলে বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে। জামিন দেয়া সাপেক্ষে মামলাও চলতে পারে। এটা হলে, আমরা ভেবে দেখব। নির্বাচিত বিএনপির নেতারা জানান, তারা আবারো বসবেন। শপথ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে কোনো সিদ্ধান্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নেয়া হবে।