• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

শোনা যায় মহাপ্রলয়ের পদধ্বনি!

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২০  

 

বর্তমানে আমরা এমন একটি সময় অতিক্রম করছি, যখন প্রতিটি মুহূর্ত ভয় ও আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। মরার ভয়, গুম হওয়ার ভয়, ধর্ষণের ভয়, জুলুমের ভয়, সম্পদ লুটপাটের ভয়, মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হওয়ার ভয়- চারিদিকে আজ কেবল ভয়েরই প্রতিধ্বনি। এই যে একবিংশ শতাব্দিতে হুহু করে ফিতনার দ্বারগুলো খুলে যাচ্ছে, একে একে তাসবির দানার ন্যায় ফিতনাগুলো ধেয়ে আসছে, মানুষের জীবন জুলুম-অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে; আপনি ভাবছেন চলমান এসব ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই ঘটছে! জি না, এসব স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এ হলো মহাপ্রলয়ের আগাম সতর্কতা। 

অধিকাংশ মানুষ কিয়ামতকে দূরে ভাবে; অথচ কিয়ামত তাদের চৌকাঠে কড়া নাড়ছে।

কিয়ামতের পূর্বমুহূর্তে এভাবেই ফিতনার স্রোত সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। ক্রমেই পৃথিবী অশান্ত হয়ে উঠবে। জুলুম-অনাচারে পৃথিবী কানায় কানায় ভরে যাবে। অকল্পনীয় সব পরিস্থিতির শিকার হবে মানুষ। বাবার হাতে মেয়ে, ভাইয়ের হাতে বোন ধর্ষিতা হবে। দুধের বাচ্চা থেকে শুরু করে আশি বছরের বুড়ি- কেউই এ নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাবে না। অহরহ মানুষ মরতে থাকবে। কারণে-অকারণে নিহত হতে থাকবে। প্রকোপ এতটাই বেশি হবে যে, হত্যাকারীও জানবে না, কেন সে হত্যা করছে, আর নিহত ব্যক্তিও জানবে না, কেন তাকে হত্যা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অশ্লীলতার সয়লাব হবে। চারদিকে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে যাবে।

বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত পৃথিবীতে যে পরিমাণ বিপর্যয় ও ফিতনা এসেছে, একবিংশ শতাব্দির মাত্র বিশ বছরেই তার কয়েকগুণ বেশি ফিতনা প্রকাশ পেয়েছে। এ মাত্রা আরও দ্রুতই বাড়বে এবং জুলুম তার শেষ স্তরে পৌঁছাবে। এরপর প্রতীক্ষিত সে ইমাম আসবেন এবং মহাপ্রলয়ের আগ দিয়ে নতুন করে পৃথিবীতে শান্তির কেতন ওড়াবেন।

কিয়ামতের বড় আলামত প্রকাশ হওয়ার আগে যতগুলো ছোট আলামতের কথা হাদিসে এসেছে, আমাদের অনুসন্ধানমতে তার ৯০% আলামতই চলে এসেছে। বর্তমানে ফিতনার যে গতি, তাতে বাকি ১০% পূরণ হতে কতদিন লাগবে, আল্লাহই ভালো জানেন। তবে খুব বেশি যে দেরি নেই, সেটা হলফ করেই বলা যায়।

সার্বিক বিবেচনায়ই বর্তমান সময়টি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নাজুক ও ভয়ংকর। যতটা না ভয়ংকর জান ও মালের ক্ষেত্রে, তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর ইমান ও আমলের ক্ষেত্রে। এ সময়ে মুমিনরা সকাল-বিকাল কাফির হতে থাকবে; যেমনটি সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে। আকিদা-মানহাজ সব গড়বড় হয়ে যাবে। আলিমরা দুনিয়ার বিনিময়ে আখিরাত বিক্রি করে দেবে। নামসর্বস্ব আলিম নামের জাহিলরা ধর্মীয় নেতায় পরিণত হবে। তারা নিজেরাও ধ্বংস হবে এবং অনুসারীদেরও ধ্বংস করবে। 
‘কিতাবুল ফিতান’ ও ‘আশরাতুস সাআহ’ অধ্যায়গুলোতে যা পড়েছি, প্রায় সবই আজ বাস্তবে ঘটতে দেখছি। খুব ভয়ে দিন কাটছে। প্রতিদিন ইমানকে যাচাই করে দেখতে হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন।