• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব সংকট মোকাবিলা করে উন্নয়নের পথে হাঁটবে দেশ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২০  

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবাদর্শে পরিচালনা করার মাধ্যমে এ দেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করা এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান। এমনকি খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত বলে দাবি করেন আলোচকরা।

গতকাল মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা আলোচকরা। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মতিন খসরু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন।

শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটা পতাকা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছর পর তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ওইসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিৎঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিল। কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের পর এখনো তারা শেষ হয়নি। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছেন, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর লিডারশীপের কারণে বাংলাদেশে গত ৩ বছরে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের ষড়যন্ত্র তত্ব দেখেছি, আজো চুল বিক্রি করে খাদ্য নেয়ার ষড়যন্ত্র দেখছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই করোনার সময় বলেছিলেন, একজন মানুষও না খেয়ে মারা যাবে না। দল মত নির্বিশেষে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল, উগ্রবাদীদের উত্থান করার জন্য। কিন্তু সেখান থেকে শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদকে নির্মূল করেছেন। আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। সেখান থেকে আংশিকভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। এখনো রাশেদ চৌধুরী, মাইনুদ্দীনরা বিভিন্ন দেশে রয়েছে। তারা যে ষড়যন্ত্রকারী সেটার প্রমাণ দেখা গেছে, বিট্রেনের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দিয়েছে। এই করোনা, আম্পান ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে কাজ করছেন, তা পুরো পৃথিবীতে প্রশংসিত হচ্ছে। তিনিই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদেরও যে ছাড় নেই, সেটা তিনি প্রমাণ করেছেন। এই ধারা আমাদের নেত্রী যেন অব্যাহত রাখেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এই করোনার সময় আমাদের অনেক নেতা মোহাম্মাদ নাসিম ভাই, আবদুল্লাহ ভাই, কামরান ভাই, সাহারা আপার মতো নেতাদের হারিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনার সংকট মোকাবিলা করে উন্নয়নের পথেই হাঁটবে বাংলাদেশ।