• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

শুনানিতে উঠছে সাগর-রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২০  

 


সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন তানভীর রহমানের মামলা বাতিলের আবেদন এবং এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন শুনানিতে উঠছে  বুধবার (৪ মার্চ)।

এ সংক্রান্ত মামলাটি বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে সোমবার (২ মার্চ) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে আদালতে হলফনামা আকারে দাখিলের জন্য র‌্যাবের পক্ষ থেকে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

ওইদিন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন হলফনামা আকারে হাইকোর্টের বেঞ্চে দাখিলের জন্য দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১৪ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আগামী ৪ মার্চ বা তার আগে এ মামলার তদন্তের সবশেষ অবস্থা এবং অপরাধের সঙ্গে তানভীরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন হলফনামাসহ দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারের পর জামিনে থাকা মো. তানভীর রহমান তার বিরুদ্ধে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। গত ২০ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে তানভীর রহমানের ক্ষেত্রে ওই মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। পরে, তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হয়ে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৪ নভেম্বর ওই আদেশ দেন আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সরওয়ার হোসেন বাপ্পী।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর। দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্ত দেওয়া হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব)।

এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১ অক্টোবর সন্দেহভাজন হিসেবে তানভীরকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।