• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

শিবচরে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান চিফ হুইপের

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২০  

 

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে শিবচরের সর্বস্তরের জনগণকে সতর্কতা অবলম্বন ও প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। রবিবার মোবাইল ফোনে শিবচরের সাংবাদিকদের কাছে শিবচরবাসীকে সতর্ক থাকার এ অনুরোধ জানান তিনি।


চিফ হুইপ আরো বলেন, করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে প্রশাসনের সব নির্দেশ মেনে চলতে হবে। সবাইকে সতর্ক ও পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অপ্রয়োজনে বাইরে চলাফেরা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসময় তিনি সরকারি সব নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করেন শিবচরবাসীকে।

এদিকে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সোমবার সকাল থেকেই চিহিৃত ৪ এলাকার হোম কোয়ারেন্টাইনে অর্ন্তভূক্ত প্রবাসী ও নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে খাবার পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চাল, ডাল, তেল, আটা, লবণ, সাবান, চিনি, আলু, ওষুধ প্যারাসিটামল, ওরস্যালাইনসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য এ তালিকায় রয়েছে। ১ম পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে ৮শ পরিবারের মাঝে এ সহায়তা দেয়া হবে।

অপরদিকে ২২ মার্চ রবিবার মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানের নেতৃত্বে শিবচর পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন খান, শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদসহ আরো অনেকেই শিবচর উপজেলার বিদেশ ফেরতদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে স্টিকারের মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশিচত করেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি করোনা ঝুঁকিতে ফরিদপুর মাদারীপুরসহ শিবচরকে সর্বাধিক ঝুকিঁপূর্ণ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ঘোষণার পর শিবচর উপজেলা প্রশাসন উপজেলা সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকালে দুই ঘণ্টাব্যাপী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কল্পে এক জরুরী সভা করেন। জরুরী সভার পর ইউএনও মো: আসাদুজ্জামান পৌরসভার ২টি ওয়ার্ড, পাঁচচর ইউনিয়নের ১টি গ্রাম ও দক্ষিণ বহেরাতলা ইউনিয়নের ১টি গ্রামে কনটেইনমেন্ট ঘোষণা করেন।

গত শুক্রবার (২০ মার্চ) করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে পৃথক দুইটি প্রেস ব্রিফিং করেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নূরে আলম মিনা ও মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুল ইসলাম। শুক্রবার রাতেই জরুরী সেবা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যর দোকান ছাড়া সকল দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। চিহিৃত এলাকায় অবস্থান নেয় পুলিশ। অতিরিক্ত আড়াই শতাধিক পুলিশ সদস্য উপজেলাজুড়ে মোতায়েন করা হয়। মোতায়েন করা হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপজেলাটিতে অবস্থান নেয়। জনগণকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে মাইকিং করে উপজেলা প্রশাসন ও শিবচর পৌরসভা। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি স্থানে ২৪ ঘন্টা পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এছাড়া সাদাপোশাকে অন্তত ২০ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন। গত শুক্রবার (২০ মার্চ) থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিবচরে খাদ্য এবং ঔষুধ ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। উপজেলার ভেতরে সব সড়কপথে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। খুব দরকার ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচেছ না। এছাড়াও করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুট। এই রুট দিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণ-পশিচমাঞচলের ২১ জেলার হাজার হাজার যাত্রী রাজধানীতে যাওয়া আসা করে।

অপরদিকে নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনের নির্দেশে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান, সির্ভিল সার্জন ডা: মো: শফিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শামসুদ্দিন খান, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রকিবুল হাসান, শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সার্বক্ষনিক সর্বত্র উপজেলা জুড়ে মনিটরিং করছেন।