• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

শিক্ষার সঙ্গে খেলাধুলাতেও নজর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একদিকে যেমন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হবে। এর পাশাপশি খেলাধুলা সংস্কৃতি চর্চাতেও আমাদের যত্নবান হতে হবে।

বুধবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে শেখ রাসেল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট-২০১৯ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন দেশ আমরা পেয়েছি। এই স্বাধীন দেশে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একদিকে যেমন তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হবে। পাশাপশি খেলাধুলা সংস্কৃতি চর্চাতেও আমাদের যত্নবান হতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের মানুষকে একটি উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খেলাধুলার দিকেও নজর দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সত্যিই খুব আনন্দিত যে, একটা আন্তর্জাতিক আয়োজন খুলনায় হচ্ছে। আর এত বড় একটা আয়োজন সফল হোক, সার্থক হোক সেই কামনা করি। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে আমাদের ছেলেমেয়েদের আমরা দেখেছি, একটু সহযোগিতা দিলে তারা খুব ভালো কাজ করতে পারে। খেলাধুলায় তারা সারাবিশ্বের কাছে ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। যাতে বহুমুখী খেলাধুলা পরিচর্যা হয়, সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি এবং সেই লক্ষ নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ। তো উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে যদি আমরা গড়ে তুলতে চাই, শুধু পড়াশুনা করলেই হবে না। এর সঙ্গে সঙ্গে তাদের খেলাধুলা, তাদের সংস্কৃতি চর্চা, তাদের মেধা মনন বিকাশের সুযোগ সেগুলো আমাদের করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন আমরা নিয়েছি, তেমনি খেলাধুলার জন্য প্রত্যেকটা উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। যাতে সেখানে সার্বক্ষণিক খেলাধুলার চর্চা হতে পারে। এর ফলে তারা শারীরিক দিকে থেকে সুস্থ থাকবে তা নয়, শারীরিক এবং মানসিক সব দিকে থেকেই তাদের ভেতর একটা আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে। তাদের ভেতর দেশপ্রেম জাগ্রত হবে। দেশ ও জাতির প্রতি তাদের কর্তব্যবোধ জাগ্রত হবে। আর সেই সব বিষয়ের দিক লক্ষ রেখেই আমরা স্পোর্টসকে সবসময় গুরুত্ব দেই।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজেইতো একটা স্পোর্টস পরিবারের মেয়ে। সে কথা নিশ্চয়ই সবাই জানেন। তাই আমরা এই দিকটা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি। কারণ আমার দাদা নিজেই একজন ফুটবল খেলোয়ার ছিলেন, আমার বাবাও ফুটবল খেলোয়ার ছিলেন। আমার ভাই কামাল, জামাল তারাও খেলত। তারা ফুটবল, হকি, টেনিসসহ বিভিন্ন খেলার খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। সেইসঙ্গে আমাদের যে দুই পুত্রবধূ কামাল-জামালের স্ত্রী- তারাও খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের দেশের মানুষ বিশেষ করে যুব সমাজ, তরুণ, শিশু, কিশোর বয়স থেকেই খেলাধুলার প্রতি আরও মনোনিবেশ করুক, যা তাদের চরিত্র গঠনে সাহায্য করবে, আত্মবিশ্বাসী করবে এবং দেশকে তারা উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে পারবে।