• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শকুনি লেকে শুরু হয়েছে বরশি মাছ ধরার প্রতিযোগিতা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০১৯  

 

শুক্রবার ভোর ৬টা। মাদারীপুরে শকুনি লেক পাড়ে হাজির সৌখিন মৎস শিকারীরা। লেকের চারিপাশে করা মাচায় বসে বরশি দিয়ে তারা মাছ ধরায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। শুধু সকালে নয় সারা রাত জেগে তারা মাছ ধরবেন। কারণ শকুনি লেকে শুরু হয়েছে বরশি দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা।
শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। লেকের মিঠা পানিতে সৌখিন মৎস শিকারীদের দেখতে লেকের চারিপাশে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। 
মাদারীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, লেকের মিঠা পানিতে এক রাত দুই দিন মাত্র ৪ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন প্রতিযোগীরা। এতে অংশ নেয় শতাধিক সৌখিন মৎস শিকারী। প্রত্যেক প্রতিযোগী এক টিকিটে ৬টি বড়শি নিয়ে লেকে মাছ ধরতে পারবে। প্রতিযোগিদের সহযোগিতার করার জন্য লেকের বিভিন্ন অংশে ২০টি বাশ ও কাঁঠ দিয়ে মাচা করে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ এক কিলোমিটার শকুনি লেকে ৩৬ ঘন্টার এই প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মৎস শিকারীরা অংশ নেন। এছাড়া বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করার আনন্দ উদ্দীপনাকে জাগ্রত করতেই জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে করেন।
সরেজমিনে শকুনি লেকে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি মাচায় ৪ থেকে ৫ জন মৎস শিকারী। কেউ বরশি টোপ পানিতে ফেলে বসে আছে মাছ শিকারের আশায়। কেউবা বরশিতে মাছের খাবার গুজে দিচ্ছে। কেউ কেউ এই প্রতিযোগিতায় তাদের সহযোগিদের নিয়ে এসেছেন। এদর মধ্যে কেউ বড় মাছ পেয়ে খুব খুশি আবার কেউ আশানুপাত মাছ না পেয়ে হতাশ। তবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় কম বেশি সবার বরশিতেই রুই, কাতল, মৃগেল, শোল, গজারসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। 
শহরের ভুইয়া বাড়ি এলাকার সৌখিন মৎস শিকারী কানন ভুইয়া। তিনি গত ২০ বছর ধরে শখের বেশে বরশি দিয়ে মাছ শিকার করেন। তিনি বলেন, ‘লেকে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা হলে প্রতিবারই অংশ নেই। এবারও নিয়েছি। বরশিতে ভালোই মাছ উঠেছে। দুপুরের দিকে দুটো কাতল আর একটা রুই পাইছি। আশা করছি আরো বড় মাছ পাবো।’
কালকিনি থেকে আসা সৌখিন মৎস শিকারী সুরাত সরদার বলেন, ‘বরশি দিয়ে মাছ শিকার করতে ভালো লাগে। তাই টিকিট কেটে মাছ ধরতে এখানে এসেছি। জেলার বাহিরেও মাছ ধরার প্রতিযোগিতা হলে সেখানে আমার দল নিয়ে যাই।’
শরীয়তপুর থেকে আসা সৌখিন মৎস শিকারী মোতালেব মিয়া বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জেলায় বরশি দিয়ে মাছ ধরি। এ বছর প্রথম মাদারীপুর শকুনি লেকে মাছ ধরতে এলাম। এখানে লেকটা অনেক বড়, পরিবেশটাও ভালো। মাছ ধরেই ভালোই আনন্দ পাচ্ছি।’
মাছ শিকার দেখতে আসা দর্শনার্থী বৃষ্টি আক্তার বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে ছুটির দিনে লেকের পাড়ে ঘুরতে এসে মাছ ধরার এমন দৃশ্য দেখে আরো বেশি ভাল লাগছে। প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ দিনে প্রশাসন এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে আমরা দর্শনার্থীরা আনন্দ উপভোগ করতে পারবো।’
মাদারীপুরের জেলা প্রসাশক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শকুনি লেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়া হয়। আর এই মাছগুলোকে রক্ষনাবেক্ষণসহ প্রতিযোগীদের মাঝে আনন্দ ও দর্শনার্থীদের মাঝে ভালো লাগার একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার জন্যই আমারা বছরে দুই তিনবার এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা আয়োজন করি। এছাড়াও শনিবার সন্ধ্যায় মাছ ধরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ৩জন প্রতিযোগিকে পুরস্কিত করা হবে। পাশাপাশি বিশেষ দিনগুলোতে উৎসমুখর পরিবেশে এই প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।