• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

র‍্যাবের অভিযানে দুই জেএমবি সদস্য আটক

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২০  

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ২ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। রোববার (২২ নভেম্বর) রাতে র‍্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি সুমিনুর রহমান প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর পৃথক ২টি অভিযানে ২১ নভেম্বর জেএমবির সক্রিয় সদস্য তাওহীদুল ইসলাম ওরফে জিহাদী তামান্নাকে (২৪) নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ভাণ্ডারপুল এলাকা থেকে এবং আরাফত হোসাইন ওরফে সজলকে (২০) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন গোয়ালমারি এলাকা থেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে ২টি স্মার্ট ফোন ও অনেক উগ্রবাদী নথিপত্রের সফটকপি জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায়,  তাওহীদুল ইসলাম জিহাদী তামান্না (২৪) এর স্থায়ী ঠিকানা সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জের নীলকণ্ঠপুর গ্রামে এবং আরাফত হোসাইন সজল (২০) এর বাড়ির স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লার দাউদকান্দি পাঁচ গাছিয়া গাংকান্দা এলাকায়। তারা অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উগ্রবাদী লেখকদের বক্তব্য  শুনে ও লেখা পড়ে উগ্রবাদের দিকে ধাবিত হয় এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)- এ যোগদান করে।

পরবর্তীতে সংগঠনের পরামর্শে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে গোপন অনলাইন জিহাদী গ্রুপে অন্তর্ভূক্ত হয়ে জিহাদী কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে এবং নিয়মিত চাঁদা দেওয়া শুরু করে। তারা অনলাইনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ, নতুন কর্ম-পরিকল্পনা নির্ধারণ, আঞ্চলিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, জেল হাজতে আটক থাকা জেএমবি সদস্যদের মুক্ত করা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাসহ সংগঠনের প্রস্তুতিমূলক গোপন বৈঠক করা ও বিভিন্ন জিহাদী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন অ্যাপস ব্যবহার করে শিক্ষিত ও সমমনা তরুণদের উগ্রবাদী মতাদর্শে উদ্ভূদ্ধ করে আসছিল।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীণ বলে জানায় র‍্যাব।