• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

রিমান্ড শেষে কারাগারে ফখরুল

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২১  

২০১৩ সালে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানা দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর হেফাজত ইসলামের সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত এই আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এদিন আসামি ফখরুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৬ এপ্রিল কারাগার থেকে ভার্চুয়াল আদালতে তাকে উপস্থিত করানো হয়। এসময় পল্টন থানার দায়ের করা মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল পাঁচদিনের রিমান্ড চলাকালীন পল্টন থানার এক মামলায় তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে স্বেচ্ছায় সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়ার আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৪ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল। 

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে অবরোধ কর্মসূচির নামে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়।

সম্প্রতি বায়তুল মোকাররম মসজিদ, পল্টন, যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এরপর এ ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়। তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তদন্তের অংশ হিসাবে সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য, একই সঙ্গে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। নিশ্চিত হওয়ার পরই সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।