• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

রাজৈরে বৈশাখী মেলায় চড়কঘুল্লা দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড়

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৯  

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাঠ জুঁড়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। মাঠের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে চড়কগাছ। চড়ক গাছের সঙ্গে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা বিশেষ এক ধরনের চড়কায় ঝুলন্ত দঁড়ির সঙ্গে পিঠে লোহার তৈরি বড়শি গেঁথে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় তিন যুবককে। তখন বাণ বিদ্ধ যুবকরা চকড়গাছের চতুর্পাশে দ্রুতবেগে ঘুরাতে থাকেন। এই দৃশ্য দেখে দর্শনার্থীদের মনে তৈরি হয় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। সবাই অবাক হয়ে আকাশের দিকে চেয়ে দেখে চড়কে ঘুরানো তিন যুবককে।
গতকাল রোববার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি বাজারের বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এমনি এক শ্বাসরুদ্ধকর উৎসব। আমগ্রাম স্থানীয় যুব সমাজের এখানে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। মেলাকে আকর্ষনীয় করে তুলতে মাঠের মধ্যে আয়োজন করা হয় চড়কঘুল্লার। যা দেখতে ভিড় করেন দূর দূরন্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা।
আয়োজকরা জানায়, চড়কপূজা বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। এই পূজাকে ঘিরেই চড়কঘুল্লার আয়োজন করা হয়। তবে রাজৈর এলাকায় চড়কপূজার আয়োজন ছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনে চড়কঘুল্লার আয়োজন করা হয়। এই বছর ৭দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলাকে আকর্ষনীয় করে তুলতে মেলার শেষের দিন আয়োজন করা হয় এই চড়কঘুল্লার।
চড়কঘুল্লায় অংশ নেয় যুবকদের বিভিন্ন প্রকারের দৈহিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। তাদের লোহার তৈরি বড়শি শরীরে গেঁথে মোটা দঁড়ি সাথে বেঁধে দ্রুতবেগে ঘুরানো হয় চকড়গাছের চতুর্পাশে। চড়কে ওঠা যুবকরা পিঠে, হাতে, পায়ে, জিহ্বায়, চোখের কোনে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে বাণ শলাকা বিদ্ধ করা হয়।
চড়ক পূজার আয়োজক ও কদমবাড়ি যুব সমাজের প্রধান সমন্বয়কারী মন্টু গাইন বলেন, আমরা খোলা জায়গায় বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছি। এই মেলাকে আকর্ষনীয় করে তুলতে চড়কঘুল্লার আয়োজন করেছি। আমাদের এখানে একশবছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে কয়েক বছর ধরে মেলায় দর্শনার্থীদের সরগম বাড়াতে থাকে। তাই দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতেই আমরা এই চড়কঘুল্লার আয়োজন করেছি।