• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

যেসব ইতিবাচক খবর গুজব নয়, সত্যি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২০  

করোনাভাইরাস ডিজিজ-১৯ (কভিড-১৯) নিয়ে মূলধারাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইতিবাচক খবরের কমতি নেই। কিন্তু এসব খবরের সবই কি সত্যি? সম্প্রতি তা-ই যাচাই করে দেখেছে গণমাধ্যমবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পয়েন্টার’। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই শেষে বেশ কয়েকটি ইতিবাচক খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। সেগুলো নিয়েই আজকের প্রতিবেদন—

ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু : অনেক গণমাধ্যমে খবর বেরোয় যে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই করে এই খবরের সত্যতা পেয়েছে ‘পয়েন্টার’। তবে এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে, পরীক্ষায় সাফল্য মিললেও জনসাধারণের কাছে ভ্যাকসিনটি পৌঁছে দিতে অন্তত ১৮ মাস সময় লাগবে।

অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে : গণমাধ্যমে এ খবরটিও বেশ সাড়া ফেলে যে নেদারল্যান্ডসের ইরাসমাস মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা অ্যান্টিবডির সন্ধান পেয়েছেন, যা কি না করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করবে। নানাভাবে যাচাই-বাছাই করে এই খবরটিরও সত্যতা পেয়েছে ‘পয়েন্টার’।

১০৩ বছর বয়সীও সেরে উঠেছেন : এ খবরটিও বেশ সাড়া ফেলে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, চীনের উহানে ১০৩ বছরের এক নারী করোনাযুদ্ধ জয় করে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। তিনি উহানের একটি হাসপাতালে ছয় দিন ভর্তি ছিলেন। এ খবরও মিথ্যা নয় বলে জানিয়েছে ‘পয়েন্টার’।

চীনে অ্যাপলের সব বিক্রয়কেন্দ্র চালু : করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনসহ বিভিন্ন দেশে নিজেদের সব বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করে দেয় অ্যাপল। চীনে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে এলে গণমাধ্যমে খবর বেরোয় যে প্রতিষ্ঠানটি চীনের সব বিক্রয়কেন্দ্র আবার খুলে দিয়েছে। যাচাই-বাছাই করে এ খবরেরও সত্যতা পাওয়া গেছে।

অল্প সময়েই করোনা পরীক্ষা : এ খবরও অনেকের মধ্যে সাহস জোগায়। বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকে করোনা পরীক্ষায় বিশেষ এক ধরনের পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যাতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফল জানা যাবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে কয়েক দিনও লেগে যায়। ‘পয়েন্টার’ জানায়, তারা এ খবরেরও সত্যতা পেয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত কমছে : দক্ষিণ কোরিয়ায় একসময় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে শুরু করে। কিন্তু পুরো দেশ অচল (লকডাউন) না করে অন্যান্য পদক্ষেপ নেয় দেশটি। এরই মধ্যে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে পয়েন্টার এ খবরও সত্য বলে জানিয়েছে।

ইতালিতে মৃত্যুহার বেশি কেন : বিশ্বের ২০০টি দেশ ও অঞ্চল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। দেশটিতে মৃত্যুর হারও বেশি। এর কারণ কী? অনেক গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ইতালিতে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশি। এ কারণে সেখানে বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবে ‘পয়েন্টার’ বলছে, এর সপক্ষে এখনো কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা এখনো পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা কারণ জানার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

ইসরায়েল ভ্যাকসিন বানিয়েছে : ইসরায়েলের ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়টিও বিশ্বের অনেক গণমাধ্যম প্রচার করেছে। যাচাই-বাছাই শেষে পয়েন্টার জানিয়েছে, এই খবরও সত্য। তবে ভ্যাকসিনটি এখনো সাধারণ মানুষের ওপর প্রয়োগ করার জন্য উপযোগী নয়। আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি রয়েছে।