• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

যেন যাত্রীদের হাতছানি দিয়ে ডাকে স্বপ্নের পদ্মাসেতু

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২১  

শিবচর প্রতিনিধিঃ প্রমত্ত পদ্মার বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে পদ্মাসেতু। নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীদের যেন হাতছানি দিচ্ছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু! দেশের দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রাজধানী ঢাকায় যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া এখন আরো আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে যাত্রীদের কাছে। নৌরুট দিয়ে লঞ্চ,স্পিডবোট আর ফেরিতে পার হওয়া যাত্রীরা মুগ্ধ চোখে দেখছে পুরো সেতুর অবকাঠামো। পদ্মাসেতু দেখতে পাওয়া এক বিস্ময় হয়ে ধরা দিচ্ছে যাত্রীদের চোখে। স্বপ্নের এই সেতুর উপর দিয়ে পদ্মা পার হবেন এমন প্রত্যাশায় দিন গুনছেন নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে লঞ্চে ছাড়ার পর চোখের সামনে শুধুই পদ্মাসেতুর অবকাঠামো! নদীর পাড়ে নদীশাসন বাঁধ। এ সময় লঞ্চের জানালা দিয়ে যাত্রীদের উঁকিঝুঁকি আর অনেককে ডেকে দাঁড়িয়ে পদ্মাসেতু দেখতে দেখা গেছে। লঞ্চটি স্বপ্নের সেতুর ঠিক নিচে দিয়ে যাওয়ার সময় অনেক যাত্রীরাই মুখ দিয়ে আনন্দধ্বনি করে থাকেন। বিস্ময় ও প্রশান্তি নিয়ে পদ্মাসেতুর দিকে তাকিয়ে থাকেন যাত্রীরা। সেতু পেরিয়ে লঞ্চ মূল নদীতে পৌছাতেই পেছন ফিরে সেতুর পুরো কাঠামো অবলোকন আর মোবাইলে ফোনে ছবি ধারন করতে দেখা যায় যাত্রীদের। লঞ্চটি ঘাটে পৌছানোর আগ পর্যন্ত চলে পদ্মাসেতু নিয়ে নানান আলোচনা। আর শীঘ্রই সেতুর উপর দিয়ে পদ্মা পাড় হবার প্রত্যাশা।'

লঞ্চযাত্রী স্কুল শিক্ষক মিয়াউল আলম চৌধুরী বলেন,' পদ্মাসেতুর গুরুত্ব আমাদের কাছে অত্যাধিক। কারন ঢাকা যেতে আমাদের এই প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দিতে হয়। সেতু চালু হলে শিবচরের সাথে ঢাকার যোগাযোগ হবে চোখের পলক পড়ার মতো! আমরা স্বাচ্ছন্দে দিনের কাজ দিনে করেই বাড়ি ফিরতে পারবো। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও পদ্মা পাড়ি দেবার উৎকণ্ঠা থাকবে না। এ জন্য পদ্মাসেতু আমাদের কাছে এক আবেগের জায়গা।'

বরিশাল থেকে আসা এক কলেজছাত্র ফাহিম বলেন,' পদ্মাসেতু যোগাযোগ মাধ্যমে এক দিগন্ত উন্মোচন করবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের কাছে পদ্মাসেতু যেন বিস্ময়। পদ্মার বুকে সরীসৃপের মতো সেতুর কাঠামো দেখলে অন্য রকম প্রশান্তি অনুভব হয়। মনে হয় যেন আমার সেতু! লঞ্চে বা ফেরিতে পার হলে পুরো সেতু সময় নিয়ে দেখার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ!'

গিয়াসউদ্দীন মীর নামের আরেক লঞ্চযাত্রী বলেন,' পদ্মাসেতু নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। সব মিথ্যা করে দিয়ে পদ্মাসেতু পদ্মার বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থে গড়া এই সেতুর প্রতি মানুষের আবেগ একটু আলাদা। বিশেষ করে সেতু সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হিসেবে সেতু নিয়ে ভিন্ন রকম ভালো লাগা কাজ করে মনের ভেতর।'

প্রমত্তা পদ্মায় টলমলে স্নিগ্ধ জল এখন। বর্ষা মৌসুমে এই কোমল চেহারাই রূপ নেয় রুদ্রতায়। চোখ রাঙানি আর ফোস ফোস শব্দে বুকে কাঁপন ধরায় নৌরুটের যাত্রীদের! পদ্মাসেতু চালু হলে ঝুঁকি নিয়ে নৌপথ পাড়ি দিতে হবে না ' এমন ভাবনা যাত্রীদের। তাছাড়া সময় কম লাগবে ঢাকা যেতে-আসতে। এই প্রত্যাশা পূরন হবার আগ পর্যন্ত পদ্মাসেতু যেন হাতছানি দিয়ে ডাকবে নৌরুটের যাত্রীদের। পদ্মাসেতুর হাতছানি যাত্রীদের পদ্মা পার হবার দীর্ঘসময়ের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে মুহুর্তেই!