• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

যেখানে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে লোহা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২০  

মহাকাশ গবেষণায় নতুন মোড়। আমাদের সৌরজগতের বাইরে অনন্ত মহাকাশের কোনও এক প্রান্তে এক গ্রহ চোখে পড়েছে বিজ্ঞানীদের। আর সেই গ্রহকে জানতে গিয়ে অবাক হয়েছেন তারা। পৃথিবী থেকে ৬৪০ আলোকবর্ষ দূরে খোঁজ পাওয়া গেল এই নতুন গ্রহের। এই গ্রহে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে লোহা।

নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। সুইজারল্যান্ডের জেনিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই নতুন গ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে ডবলুএএসপি-৭৬বি।

গ্রহটির তাপমাত্রা প্রচণ্ড বেশি। সেখানে দিনের বেলা তাপমাত্রা থাকে ২ হাজার ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। এই তাপমাত্রায় লোহাসহ যাবতীয় ধাতু গলে গিয়ে বাষ্পে পরিণত হয়। তবে বাতাসের দাপটে বাষ্পে পরিণত হওয়া ধাতু উড়ে যায়। ফলে রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়।

গ্রহটির বিষয়ে জেনিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড আরেনরাইখ জানিয়েছেন, এই গ্রহে বিকালের দিকে বৃষ্টি হয়। তবে সেখানে লোহা-বৃষ্টি হয়। যে নক্ষত্রের আলোয় গ্রহটি আলোকিত হয়, সেই নক্ষত্রের দিকে গ্রহটির একটি দিকই সবসময় থাকে। অন্য দিকটি সবসময়ই অন্ধকার হয়ে থাকে।

নক্ষত্রটিকে প্রদক্ষিণ করতে ৪৩ ঘণ্টা সময় নেয় এই গ্রহ। সূর্য থেকে পৃথিবীতে যে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ আসে, নক্ষত্রটি থেকে ডবলুএএসপি-৭৬বি-তে তার হাজারগুণ বেশি বিকিরণ হয়।

নক্ষত্রের দিকে থাকা অংশটি এত গরম হয়ে যায় যে বাষ্প অনুতে পরিণত হয়। দিন ও রাতের তাপমাত্রার বিরাট ফারাকের ফলে প্রচণ্ড বাতাস বইতে থাকে। সেই বাতাসের দাপটে উষ্ণ অংশ থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়া লোহা শীতল অংশে উড়ে যায়। শীতল অংশের তাপমাত্রা থাকে এক হাজার ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।