• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

যে ৩ কাজ আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০  

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে মুমিনের পরিচয় তুলে ধরেছেন। বিশেষ কর প্রকৃত মুমিন করা তাও উল্লেখ করেছেন। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, যারা আল্লাহর দেয়া আদেশ পালন করেন, নিষিদ্ধ কাজগুলো বর্জন করেন আর সব সময় আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে সক্ষম হন; তারাই মহান রাব্বুল আলামিনের প্রিয় বান্দা।

হ্যাঁ, রাসুলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও হাদিসের বর্ণনায় এ তিন শ্রেণির লোকের বর্ণনা ও তার কাজ সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলি! আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় কাজ তিনটি। তাহলো-
- যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা কর্তৃক তার ওপর ফরজকৃত কাজগুলো পালন করে; সে হলো সবচেয়ে বড় আবেদ।
- আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নিষেধকৃত কাজগুলো থেকে বিরত থাকে; সে হলো সবচেয়ে সংযমী।
- আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তার জন্য যে জীবিকা নির্ধারিত করেছেন, তাতেই তুষ্ট থাকে; সে হলো সবচেয়ে বড় সামর্থ্যবান (কৃতজ্ঞ)।

হাদিসে উল্লেখিত তিনটি কাজ পালন করা মহান আল্লাহর নির্দেশ। আর যারা এ নির্দেশ পালন করেন তারা মহান আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। এ কারণেই তাদের আবেদ, সংযমী ও সামথ্যবান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের একাধিক স্থানে এ ৩টি বিষয় নিয়ে একাধিক আয়াত নাজিল করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘রাসুল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা থেকে নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।’ (সুরা হাশর : আয়াত ৭)

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে একাধিক আয়াতে তার শুকরিয়া ও তাকে স্মরণ করার কথা বলেছেন। বিনিময়ে তিনি বান্দার প্রতি তার নেয়ামত দান করবেন। বান্দাকে স্মরণ করবেন মর্মে আয়াত নাজিল করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
- ‘সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫২)
- ‘তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারাই সত্বর জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।’ (সুরা মুমিন : আয়াত ৬০)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে তার ফরজ করা বিষয়গুলো মেনে নেয়া যেমন জরুরি তেমনি তার নিষেধ করা কাজগুলো থেকে বিরত থাকাও একান্ত আবশ্যক। পাশাপাশি সব সময় মহান রবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের বিকল্প নেই। তিনিই তো বান্দার একমাত্র আশা-ভরসার স্থল।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব ফরজ বিধি-নিষেধ এবং সব কাজে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার তাওফিক দিন। উল্লেখিত কুরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গড়ার তাওফিক দিন। আমিন।