যাত্রী পারাপার বন্ধ ঘোষণা কাঁঠালবাড়ী রুটে

শিবচর প্রতিনিধিঃ

করোনা প্রতিরোধে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রী পারাপার বন্ধ ঘোষনার পর পুরোপুরি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের চারপাশ ফাঁকা হয়ে গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখা হয়। পরে রবিবার সকালে যাত্রী ও যানবাহন শূণ্য হয়ে পড়ে পুরো ঘাট এলাকা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

জেলা প্রশাসন জানায়, দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে যাতায়াত করেন। করোনা প্রতিরোধে সরকার ছুটি ঘোষণা করার পরে হাজার হাজার কর্মজীবি মানুষ বাড়িতে ফেরেন। তারা দুইদিন ধরে কর্মস্থলে যোগদান করতে এই নৌরুট ব্যবহার করছেন। এতে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। এমতাবস্থায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত আসার পরে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখা হয়। তবে, জরুরী প্রয়োজনে ২ থেকে ৩টি ফেরি চালু রাখা হবে। এই ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র এ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক ও সরকারী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পারাপার করা হবে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাতে করে কোন যাত্রী ঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘাট এলাকায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তাদের সাথে একত্রে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

এদিকে যাত্রী পারাপার বন্ধ ঘোষনার ঘাট এলাকায় আটকা পড়া যাত্রীদের ভোর থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এতে পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেছে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের আশপাশ। নোঙ্ঘর করে রাখা হয়েছে নৌযানগুলো। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলেও জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।