• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দী ও অন্যান্য জাল অপসারণে প্রস্তুতি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০২১  

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দী ও অন্যান্য জাল অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন -২০২১ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মৎস্য অধিদপ্তরের ৫টি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা আলোচনা করা হয়। প্রথম ধাপে ১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপে ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখের মধ্যে নদীতে অবৈধ ও ক্ষতিকারক জাল ফেলা থেকে বিরত রাখতে হবে জেলেদের। মৎস্য সম্পদ ধ্বংস কারী বেহন্দি জাল ও অন্যান্ন জাল অপসারণে জেলা স্টাকফোর্স কমিটিকে অবহিত করা। ৩য় ধাপে বিশেষ কম্বিং অপারেশন ২০২১ পরিচালনা করার জন্য একটি গোপনীয় আপারেশনাল পরিকল্পনা তৈরি। ৪র্থ ধাপে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর সহযোগিতা প্রদান ও ৫ম ধাপে, পুলিশ বিভাগ ও র‍্যাব ফোর্সের সহযোগিতা প্রদান।

বুধবার সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসন ও মৎস অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসান রহমান, জেলা মৎসকর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ও অন্যান্যরা।

জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ঝাটকা ইলিশ ধরা অন্যায়, সবাইকে এ ব্যাপারে অবহিত করতে হবে। বাংলাদেশের ইলিশের উৎপাদন এক কথায় ব্যাপক, আমরা যদি ঝাটকা ধরা বন্ধ করতে পারি বহির্বিশ্বে রপ্তানি করে বিপুল অর্থ আয় করা যাবে। আমরা ঝাটকা ধরা বন্ধের জন্য এ সময়টাতে জেলেদের আর্থিক সহযোগিতা সহ কর্মসংস্থানের ও সুযোগ করে দিয়েছি আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে ইলিশের পাশাপাশি আমাদের অন্যান্য মাছের পোনাও যেন ধ্বংশ করা না হয় সেই পদক্ষেপ ও নেওয়া হবে।

জেলা মৎসকর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা যদি প্রতিটি মাছের পোনা রক্ষনাবেক্ষন করতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে আর আমিষের অভাব হবে না, এই জন্য আমাদের মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে মৎস্য ধ্বংসকারী প্রতিটি সরঞ্জাম উৎপাদন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।