• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মুন সিনেমা হলকে ৩০ জুনের মধ্যে শতকোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

মুন সিনেমা হলের মালিককে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ৯৯ কোটি ২১ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে আবারও নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না হলে এ দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর মুন সিনেমা হল মালিকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।

গত ৮ অক্টোবর মুন সিনেমা হলের মালিককে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ তা পরিশোধে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। যার কারণে এ অর্থ পরিশোধে চলতি বছরের গত ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সময় দিয়েছিল আপিল বিভাগ। কিন্তু পুনরায় সময় আবেদন করায় অর্থ পরিশোধে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করলেন আপিল আদালত।

জানা যায়, ১৯৬৪ সালে ওয়াইজঘাটে প্রতিষ্ঠা হয় মুন সিনেমা হল। এর মালিক ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম। মুক্তিযুদ্ধের পর সরকার ওই সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে হস্তান্তর করে। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ঘোষিত এক সামরিক ফরমানে বলা হয়, সরকার কোনো সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। তাই মুন সিনেমা হল ফেরতের দাবিতে হাইকোর্টে দুই দফায় রিট করে ব্যর্থ হয় মালিকপক্ষ।

পরে ২০০০ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বৈধতাদানকারী ওই সামরিক ফরমান চ্যালেঞ্জ এবং মুন সিনেমা হল ফেরতের দাবিতে আবারও তারা হাইকোর্টে রিট করে। ২০০৫ সালে হাইকোর্ট পুরো পঞ্চম সংশোধনীই বাতিল করে দেন। এতে অবৈধ হয়ে পড়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলও।

পরে আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। পাশাপাশি মুন সিনেমা হল ৬০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ইটালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডকে ফেরত দিতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।

২০১১ সালের মার্চ মাসে এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায় সরকার। ওই রায়ে মুন সিনেমা হল ফেরতে সরকারকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়। রায়ের পর পরই পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে এর আলোকে ২০১১ সংবিধান পুনর্মুদ্রণ হয়েছে। কিন্তু আজও মুন সিনেমা হল ফেরত পাননি তার মালিক।

কারণ হিসেবে জানা যায়, এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ওই জায়গায় সাত তলা বিশিষ্ট মুন কমপ্লেক্স তৈরি করেছে। এটির ডেভেলপার কোম্পানি বাবুলী কন্সট্রাকশন লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী ডেভেলপার কোম্পানিটি সাত তলা ভবন নির্মাণের পর তা সেলামি মূল্যে বিক্রিও করেছে। ২০০৫ সালে হাইকোর্টের রায়ের পর যেসব মালিক দোকান নিয়েছিল, তাদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা নেমে আসে। অন্যদিকে ডেভেলপার কোম্পানিও পড়ে বিপাকে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টও ওই সম্পত্তি ফেরত দিতে জটিলতার মুখে পড়ে। এ অবস্থায় সম্পত্তি ফিরে পেতে ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করে ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস।

মুন সিনেমা হল ফেরতের জটিলতার বিষয়টি আদালতকে জানানো হলে ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ওই সম্পত্তি অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ এক প্রকৌশলীকে দিয়ে জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে দিয়ে এ মূল্য নির্ধারণ করতে বলা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আদালত অবমাননার আবেদনটি নিষ্পত্তি করে প্রায় শতকোটি টাকা দেওয়ার ওই আদেশ দেন।

মুন সিনেমা হলের মালিককে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ৯৯ কোটি ২১ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে আবারও নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না হলে এ দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর মুন সিনেমা হল মালিকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।

গত ৮ অক্টোবর মুন সিনেমা হলের মালিককে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ তা পরিশোধে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। যার কারণে এ অর্থ পরিশোধে চলতি বছরের গত ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সময় দিয়েছিল আপিল বিভাগ। কিন্তু পুনরায় সময় আবেদন করায় অর্থ পরিশোধে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করলেন আপিল আদালত।

জানা যায়, ১৯৬৪ সালে ওয়াইজঘাটে প্রতিষ্ঠা হয় মুন সিনেমা হল। এর মালিক ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম। মুক্তিযুদ্ধের পর সরকার ওই সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে হস্তান্তর করে। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ঘোষিত এক সামরিক ফরমানে বলা হয়, সরকার কোনো সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। তাই মুন সিনেমা হল ফেরতের দাবিতে হাইকোর্টে দুই দফায় রিট করে ব্যর্থ হয় মালিকপক্ষ।

পরে ২০০০ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বৈধতাদানকারী ওই সামরিক ফরমান চ্যালেঞ্জ এবং মুন সিনেমা হল ফেরতের দাবিতে আবারও তারা হাইকোর্টে রিট করে। ২০০৫ সালে হাইকোর্ট পুরো পঞ্চম সংশোধনীই বাতিল করে দেন। এতে অবৈধ হয়ে পড়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলও।

পরে আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। পাশাপাশি মুন সিনেমা হল ৬০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ইটালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডকে ফেরত দিতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।

২০১১ সালের মার্চ মাসে এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায় সরকার। ওই রায়ে মুন সিনেমা হল ফেরতে সরকারকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়। রায়ের পর পরই পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে এর আলোকে ২০১১ সংবিধান পুনর্মুদ্রণ হয়েছে। কিন্তু আজও মুন সিনেমা হল ফেরত পাননি তার মালিক।

কারণ হিসেবে জানা যায়, এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ওই জায়গায় সাত তলা বিশিষ্ট মুন কমপ্লেক্স তৈরি করেছে। এটির ডেভেলপার কোম্পানি বাবুলী কন্সট্রাকশন লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী ডেভেলপার কোম্পানিটি সাত তলা ভবন নির্মাণের পর তা সেলামি মূল্যে বিক্রিও করেছে। ২০০৫ সালে হাইকোর্টের রায়ের পর যেসব মালিক দোকান নিয়েছিল, তাদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা নেমে আসে। অন্যদিকে ডেভেলপার কোম্পানিও পড়ে বিপাকে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টও ওই সম্পত্তি ফেরত দিতে জটিলতার মুখে পড়ে। এ অবস্থায় সম্পত্তি ফিরে পেতে ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করে ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস।

মুন সিনেমা হল ফেরতের জটিলতার বিষয়টি আদালতকে জানানো হলে ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ওই সম্পত্তি অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ এক প্রকৌশলীকে দিয়ে জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে দিয়ে এ মূল্য নির্ধারণ করতে বলা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আদালত অবমাননার আবেদনটি নিষ্পত্তি করে প্রায় শতকোটি টাকা দেওয়ার ওই আদেশ দেন।

- See more at: http://www.dailyjanakantha.com/details/article/389964/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A7%A9%E0%A7%A6-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF#sthash.FfzJZYXT.dpuf