• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মিনা কার্টুন এবার মোবাইল গেমে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০  

এবার সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে মোবাইল গেম। আর দক্ষিণ এশিয়ার বাকি ছয়টি দেশেও এ কাজ করবে বাংলাদেশি তরুণরা। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজ মিনাকে থ্রিডি গেমে রূপান্তরের মাধ্যমে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে খেলতে পারবেন গেমাররা। ফলে নিজেকে মিনার মতো সক্রিয় সমাজকর্মীর ভূমিকায় দেখবেন গেমার। শুধু তাই নয়, এই গেমটির মাধ্যমে নারী শিক্ষা, নারী অধিকার এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশের নেওয়া উদ্যোগ ইউনিসেফের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে দক্ষিণ এশিয়ায়।

পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা। দুষ্টু দিপুকে শায়েস্তা কিংবা মিঠুর সঙ্গে খেলা করা-রাজুর পরিবর্তে সবই করছে আপনার ছোট্ট সোনামনি। একবার ভাবুন তো কেমন হবে বিষয়টি। ইউনিসেফের অর্থায়নে নির্মিত মিনা গেমে এই সুযোগ পাবে গেমাররা। গর্ভকালীন মায়ের সেবা, কিংবা স্বাস্থ্য আপাকে আনতে মিনার ভূমিকায় আবিষ্কার করতে পারবে নিজেকে।

প্রসবকালীন সময়ে জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন করা-সবকিছুই ঘটছে চোখের সামনে। খেলার ছলে পাবেন স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের ধারণা। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি ছোটদের দায়িত্বও। উদ্যোক্তারা বলছেন, ইউনিসেফ সঙ্গে থাকায় সার্কভুক্ত সব দেশের কথা মাথায় রেখেই গেমটি তৈরি করা হয়েছে। ভিন্ন ভাষার সমস্যা সমাধানে কথোপকথনের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে প্রতীকী ভাষা।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২০টি গেমের মধ্যে ট্যাপ ট্যাপ অ্যান্টস সারা বিশ্বে প্লে স্টোর থেকে দেড় কোটি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। আয়ের উৎস বিজ্ঞাপন, গেম এবং গেমস কম্পোনেন্ট বিক্রি। ২০০৯ সালে গেম নিয়ে কাজ শুরু করা ৩৮ বছর বয়সী এই উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠানে এখনই কাজ করছেন ৫০ জন তরুণ-তরুণী।

এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা এরশাদুল হক বলেন, কীভাবে গেলগুলো সাজালে ব্যবহারকারী বেশি বেশি গেমগুলো নামাবে তা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আর এদের দক্ষতা উন্নয়নে বড় পরিসরে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা মোবাইলের গেমের প্রজেক্ট বানিয়েছি। আমরা প্রায় ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাবও স্থাপন করেছি। জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গেমিংস্কান-এর তথ্যমতে বর্তমানে বিশ্বে গেমিংয়ের বাজার দেড়শ’ বিলিয়ন ডলারের বেশি।