মাদারীপুরে গৃহবধূকে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদন্ড

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরে গৃহবধূকে হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি রফিকুল ইসলামকে (৩০) মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ দন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত রফিকুল সদর উপজেলার শিরখাড়া গ্রামের পান্নু হাওলাদারের ছেলে। নিহত রুমা আক্তার (২৮) সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের খালাসিকান্দি গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী। রুমার স্বামী ইতালী প্রবাসী হওয়ায় শহরের পাঠকান্দি এলাকায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ই মার্চ শহরের পাঠককান্দি এলাকার রুমা আক্তারের ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের মা হেনা আক্তার বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ২৬ মার্চ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয় আসামি রফিকুল। আদালতে রফিকুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিন দেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানায় থানার উপ-পরিদর্শক (এআই) শাহীন সরদার। দীর্ঘ যুক্তিতর্কের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বুধবার বিচারক একমাত্র আসামিকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।

নিহত ওই গৃহবধূর মা হেনা আক্তার আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার মেয়ের হত্যার একমাত্র আসামির উপযুক্ত বিচার হয়েছে। এ রায়ে আমি খুশি। আমরা চাই দ্রুত এই রায় যেন কার্যকর করা হয়।’

মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, মোবাইল ফোনে পরিচয়ের পরে রুমার সাথে রফিকুলের পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। পরে রাতে দুইজনে একত্রে থাকতেন। এ ঘটনা কেউ যাতে না জানে সেজন্য রফিকুল রুমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরে রুমাকে শ^াসরোধ রোধ করে হত্যা করে রফিকুল। এই মামলায় ১৯ জন আদালতে সাক্ষ্যদেন। মৃত্যুদন্ড সাজা প্রদান করায় এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি। দ্রুত এই রায় কার্যকরে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিবে এটাই সবার আশা।