• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুরে করনো সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরী সভায় সাংসদ শাজাহান খান

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২০  

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা ও স্থানীয় সাংসদ শাজাহান খান।

কমিটির সভায় বলা হয়, সরকার আগামীতে লকডাউনের বিষয় যে সিদ্ধান্ত নেবে সেগুলো কঠোর ভাবে পালন করা হবে। এর আগে স্থানীয় ভাবে কিছু সিদ্ধান্ত পালন করা হবে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হল, বাজারে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা, বাজার স্থান্তর করা, বিকের ৪টার পরে ওষুধের দোকান ছাড়া কোন দোকানপাট খোলা না রাখা, মানুষকে সচেতন করতে নিদের্শনা দিয়ে মাইকিং করা, করোনা মোকাবেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাজ লাগানো।

এর আগে গত ১৫ মে দ্বিতীয় দফায় মাদারীপুর জেলাকে লকডাউন করার সময় একই ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রথম প্রথম পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি থাকায় এসব সিদ্ধান্ত মানা হলেও এক সপ্তাহ পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রূপ ফিরে পায়। এরপর থেকেই জেলায় বাড়তে থাকে সংক্রমণ। সবশেষ গত ১০ দিনে এ জেলায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয় ১১৪ জন। বর্তমানে জেলায় মোট রোগীর সংখ্যা ২১৭ জন।

সভায় জেলার পুলিশ সুপার মো. মাহাবুব হাসান বলেন, ‘আমরা আগের স্থানে ফিরে যেতে চাই না। আমরা চাই মানুষকে সচেতন করতে। রেড জোন হোক বা না হোক করোনা সংক্রমণে মাদারীপুর হটস্পর্ট। তাই বর্তমানের অবস্থান থেকে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। করোনা এখন সবার ঘরে ঘরে তাই দোকানপাট বন্ধ করে কিছু হবে না। সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে আমরা কাজ করবো।’

করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা ও স্থানীয় সাংসদ শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘জেলায় ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহনে স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই মানুষ চলাচল করছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। জেলার যে এলাকায় রোগীর সংখ্যা বেশি সেখানে রেড জোন করে আলাদা ভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। সকলের সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। প্রশাসনকে কঠোর হবে, সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। নয়তো এই মহামারি রোধ করা সম্ভব নয়।’

জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় এখনো লকডাউন বহাল আছে। তবুও জেলার মানুষজন অবাদে চলাফেরা করছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজৈর উপজেলায়। এরপর সদরে। তাই আমরা এই দুটি উপজেলাকে বিশেষ নজরদারিতে রেখে কাজ করবো। পাশাপাশি সকলের মতামত, পরামর্শ অনুযায়ী আমরা নতুন করে করোনা মোকাবেলায় কাজ করবো।’