• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

মাদারীপুরে অসহায় বাবার পাশে সমাজসেবা অধিদপ্তর

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরে চিকিৎসার অভাবে ৫দিন ধরে হাসপাতালের ফ্লোরে পড়ে থাকা বাবার পাশে দাঁড়িয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। মুমুর্ষ নুরু মাতুব্বরের দেখভাল করার জন্য অস্থায়ীভাবে একজন আয়াও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় চিকিৎসা কার্যক্রম।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রাসেদুল জানান, গত রোববার থেকে হাসপাতালের দোতলার ফ্লোরে মুমুর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকেন এক সময়ের তাজ বিড়ি ফ্যাক্টরীর মালিক ও কোটিপতি ব্যবসায়ী নুরু মাতুব্বর। ৫দিন পেরিয়ে গেলেও নুরু মাতুব্বরের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ নেয়নি কোন খোঁজখবর।

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় সমাজসেবা অধিদপ্তর। পরে মুমুর্ষ নুরুর দেখাশোনা করার জন্য আছিয়া আক্তার নামে একজন আয়া অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ৪দিনে স্যালাইল ছাড়া কিছু না খেতে পারলেও এখন আয়ার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ফল ও নরম খাবার খাচ্ছেন তিনি। সঠিক চিকিৎসা পেলে নুরু আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় চরমুগরিয়া এলাকার ‘তাজ বিড়ি ফ্যাক্টরী। পরে ফ্যাক্টরীর মালিক নুরু মাতুব্বর বাড়ি বিক্রি করে ছেলেকে লন্ডন পাঠান পড়াশুনা করাতে। লন্ডন থেকে ফিরে এসে ছেলে বিয়ে করে ঢাকায় ব্যবসা করছেন। পরে নুরু মাতুব্বরের বিঘার পর বিঘা জমি তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে লিখে দেয়ার পাশাপাশি তাদের সভ্রান্ত পরিবারে বিয়েও দেন। অথচ, গত ১৫ বছর ধরে বাড়িছাড়া ৬০ বছর বয়সী ওই বাবা। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে খাবার সংগ্রহ করলেও আজ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুশয্যা।