• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

মাদারীপুর পুলিশের হাতে জ্বীনের বাদশার দুই সহযোগি গ্রেফতার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২০  

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ জ্বিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে মাদারীপুর থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে মাদারীপুর জেলা পুলিশ। গত ১০ আগষ্ট চট্টগ্রামের রাউজান থেকে জ্বীনের বাদশার সহযোগি দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, চট্টগ্রামের রাউজান থানার গোশতী মাঝিপাড়া গ্রামের মৃত. মনিরুল হকের ছেলে জ্বীনের সহযোগি জসীম উদ্দিন ইউসুফ (৩৬), ও  একই থানার বাগওয়ান লাম্বুর হাট গ্রামের জসীম উদিনের ছেলে আব্দুর রহমান আমান (২২)। মামলার তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি সাংবাদিকদের দেরিতে জানানো হয়েছে।

মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম হাজরাপুর গ্রামের মৃত আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী রহিমা বেগম গত ৯ আগস্ট সদর মডেল থানায় প্রতারণার একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আনন্দ টিভি ও বাংলা টিভির বিজ্ঞাপন দেখে জানতে পারেন যে, তাদের নিকট হতে ঔষুধ ক্রয় করলে এলার্জি চর্মরোগ থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যাবে। বিজ্ঞাপন দেখে মোবাইল নম্বরে ফোন করলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জানায়, তার গুরুজীর সাথে কথা বললে সব সমস্যা সমাধান করে দিবেন। গুরুজীর সাথে কথা বলার চার্জ হিসেবে ৩২০ টাকা দিতে হবে। সেই থেকে তিনি গুরুজীর সাথে কথা বলয়া তার পাঠানো তাবিজ ও ঔষুধ সেবন করতে থাকেন। গুরুজী জ্বীন নিয়ে খেলা করে বলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিপুল পরিমান টাকার লোভ দেখায় রহিমা বেগমকে। পরবর্তীতে জ্বীনের দ্বারা তার ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনিদের ক্ষতি করার কথা বলে পর্যায়ক্রমে বিকাশ ও নগদ এর মাধ্যমে ৫৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়  জ্বীনের বাদশা ও তার সদস্যরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লার তত্ত্বাবধানে সদর মডেল থানার এস.আই হাদী মো. খসরুজ্জামান ও এস.আই সুমন কমার আইচ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামের রাউজান থানার গোশতী মাঝিপাড়া গ্রামের মৃত. মনিরুল হকের ছেলে জ্বীনের সহযোগি জসীম উদ্দিন ইউসুফ (৩৬), ও  একই থানার বাগওয়ান লাম্বুর হাট গ্রামের জসীম উদিনের ছেলে আব্দুর রহমান আমান (২২) কে প্রতারকদের অফিস থেকে ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত রহিমা বেগমের প্রেরিত টাকার মধ্য হতে মোবাইলে থাকা ৪ লাখ এক হাজার টাকা জব্দ করা হয় এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এরপর আসামীদের মাদারীপুর নিয়ে এসে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড চাওয়া হলে বিজ্ঞ আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রতারণার কথা বিজ্ঞ আদালতের কাছে দোষ স্বীকারমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেয়া তথ্যমতে প্রধান জ্বীনের বাদশা আঃ হাকিম চৌধূরীসহ অন্যান্য সদস্যকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, জীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে কিছু প্রতারক চক্র মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম হাজরাপুর এলাকার এক মহিলার কাছ থেকে প্রায় ৬০ লাখ টাকার বেশি টাকা বিকাশ ও নগদ এর মাধ্যমে নিয়ে গেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এবং পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে আমি দুই জন এসআইকে সাথে নিয়ে জ্বীনের বাদশা ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করার জন্য চট্টগ্রামের রাউজান থানা এলাকা অভিযান পরিচালনা করি এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রতারক চক্রের এক একজন সদস্য প্রতি মাসে ৬ লাখ টাকা থেকে ১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। প্রধান জিনের বাদশাকে খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করতে পারবো বলে আমি আশাবাদি। মামলার তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি বিলম্বে সাংবাদিকদের জানালো হলো।