• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুর কৃষি অফিসের সহায়তায় আগাম বাঙ্গী চাষে সফল কৃষকরা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০১৯  

মাদারীপুর:

মাদারীপুরের রাজৈরে আগাম বাঙ্গী চাষে সফল হয়েছেন কৃষকরা । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এ উপজেলার বাজিতপুরে  আগাম বাঙ্গী চাষ করে একদিকে যেমন শত শত কৃষক সফল হচ্ছেন, অন্যদিকে বিষমুক্ত ও সুস্বাদু হওয়ায় মাদারীপুর ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় এখানকার বাঙ্গীর বিক্রিও বৃদ্ধি পাচ্ছে । তাই এর উপর ভিত্তি করে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে সতারকান্দি চাতাল নামক স্থানে গড়ে উঠেছে বিশাল বাঙ্গী বেচারকেনা হাট । আগাম বাঙ্গীর ফলন ভাল হওয়ায় প্রতিবছর এর চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই।

জানা যায়, কোন প্রকার ঔষধ ব্যবহার ছাড়াই মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার গঙ্গাবর্দ্দী, সুতারকান্দি ও নয়াকান্দি গ্রামে আগাম বাঙ্গী চাষ করা হয়। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এখানের বাঙ্গী কিনে নিয়ে যায়। প্রতিবছর সফলতার মুখ দেখায় দিন দিন বাঙ্গী চাষে ঝুগছেন এখানকার কৃষকরা।

সুতারকান্দি  গ্রামের মোসলেম ফকির জানান, তিনি ৭ বিঘা জমিতে আগাম বাঙ্গী চাষ করেছেন। তার প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। তার বিঘা প্রতি আয় হবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তিনি সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস থেকে বাঙ্গী চাষের নানান দিকনির্দেশনা পেয়েছেন।

নয়াকান্দি বাঙ্গী চাষী সিরাজ মিয়া জানান, আমি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে আগাম বাঙ্গি চাষ করেছি। এবার বাঙ্গীর ফলন ভাল হয়েছে। বর্তমানে একটু কম বাঙ্গি ছেড়া হচ্ছে । তবে  এক মাস পরে আরো বেশি বাঙ্গি ছেড়া হবে । এ বাঙ্গি বিক্রি চলবে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। বাঙ্গি চাষে কৃষি কর্মকর্তরা নানান প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

রাজৈরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পরিতোষ চন্দ্র বোস জানান, তিনি বাঙ্গি চাষে সফলতা আনার জন্য সার্বক্ষণিক কৃষকদেরকে সকল প্রকার পরামর্শ দান করে যাচ্ছেন।

রাজৈর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, রাজৈরে এ বছর ৭৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গীর আবাদ করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই আমগ্রাম এবং বাজিতপুর ইউনিয়নে। বাঙ্গী উৎপাদনে এবং  পোকা-মাকড় দমনে  কৃষকদের মাঝে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় কৃষকরা বিষমুক্ত বাঙ্গি উৎপাদনে সফল হয়েছে। এটি লাভজনক অর্থকারী ফসল হওয়ায় আবাদী জমি ও কৃষকের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঙ্গী চাষে কৃষকদেরকে কৃষি বিভাগ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।