• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মা হারানো সেই শিশুর দায়িত্ব নিলেন উপমন্ত্রী শামীম

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  


 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশু মাহিমার পড়া লেখাসহ ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। বুধবার সকালে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে দেখতে গিয়ে এই কথা জানান উপমন্ত্রী। শিশু মাহিমার বাড়ি শরীয়তপুরের সখিপুরে। উপমন্ত্রী শামীম ওই এলাকার এমপি।

সকালে আহতদের দেখতে গিয়ে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আহতদের মধ্যে সাতজনকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।  এ সময় শিশু মাহিমার দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আহত শিশু মাহিমা তার মা হারিয়েছে, স্বজন হারিয়েছে। সে তার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। এজন্য তিনি শিশুটির সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন। ভবিষ্যতে শিশু মাহিমার পড়ালেখাসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তা দেবেন তিনি। 

গত রবিবার সিলেটে হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহপরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করতে যান সখিপুরের বাসিন্দা মাইনুদ্দিনের জীবনের স্ত্রী কাকলি আক্তার, মেয়ে মাহিমা আক্তার, মামা জাহাঙ্গীর আলম, মামী আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়ম। সোমবার সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে তাদের শরীয়তপুরের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় জীবনের স্ত্রী, মামি ও মামাতো বোন মারা গেলেও প্রাণে বেঁচে যান শিশু মাহিমা।
দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে মাহিমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তার কোনো স্বজন পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিচয় খুঁজতে মাথায় ব্যান্ডেজ পেঁচানো রক্তাক্ত শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হলে মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়। পরে শিশুটির বাবা মাইনুদ্দিন পরিচয় শনাক্ত করেন। এছাড়া স্ত্রী কাকলি আক্তার, মামি আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়মের লাশও শনাক্ত করেন তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর শিশু মাহিমাকে আনা হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাহিমা ছাড়াও সিএমএইচে কসবা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মোট সাতজনের চিকিৎসা চলছে।