• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তানসহ নিহত দুই ভলিবল তারকা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি শহরে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিজেদের ১২ বছর বয়সী দুই কন্যা সন্তানসহ মারা গিয়েছেন দুই সাবেক ভলিবল তারকা খেলোয়াড়। উল্টোদিক থেকে আসা এক মদ্যপ চালকের গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে প্রাণ হারিয়েছেন তারা।

নিহতরা হলেন ক্যারি আরটন ম্যাকাও, ক্যাসি ম্যাকাও এবং লেসলি ড্রুরি প্রাথার ও রায়ান প্রাথার। তাদের প্রাণ কেড়ে নেয়া ফোর্ড এফ-২৫০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ২৯ বছর বয়সী এলিজাহ হেন্ডারসন। পুলিশের ধারণা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন এলিজাহ।

গত শুক্রবার সকালে নিজস্ব মিনিভ্যানে করে কানসাসে একটি ভলিবল ম্যাচ দেখতে যাচ্ছিলেন ক্যারি-লেসলিরা। স্থানীয় সময় বেলা পৌনে এগারোটার দিকে সেইন্ট চার্লস কাউন্টির কাছাকাছি পৌঁছতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ি সরাসরি ধাক্কা দেয় মিনিভ্যানটিকে। সঙ্গে সঙ্গে দুমড়েমুচড়ে যায় গাড়ি দুইটি।

প্রতক্ষ্যদর্শী স্টেফানি হাটগের জানান, ঘটনাটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাস্তার অন্যপাশ থেকে দৌড়ে আসেন এবং দেখার চেষ্টা করেন ভেতরে থাকা মানুষদের কী অবস্থা। তাৎক্ষণিক চেষ্টায় একজনকে গাড়ির ভেতর থেকে বের করে আনতে পেরেছিলেন তিনি।

স্টেফানি বলেন, ‘আমি সঙ্গে সঙ্গে ওদিকে ছুটে যাই। একজন মা কিংবা অভিভাবক কিংবা মানুষ হিসেবে, তখনের ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলাম। প্রথমেই গাড়িটা চেক করলাম। ভেতরে থাকা দুজনই জানায় তারা ঠিক আছে। পরে ভ্যানের কাছে গেলে চালক জানায় তার শ্বাসপ্রশ্বাস ঠিক আছে তবে পা ভেঙে দিয়েছে।’

দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মিনিভ্যানের ভেতরে তাকাতেই স্টেফানি বুঝতে পারেন সামনে বসা দুইজন অভিভাবক আর বেঁচে নেই। তখন আরেকজন ব্যক্তির সহায়তায় ভ্যানের ভেতর থেকে এক বাচ্চাকে বের করে আনেন এবং সিপিআরের মাধ্যমে প্রায় ১২ মিনিট ধরে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। এরপর আসে উদ্ধারকারী দল।

এক বাচ্চাকে বাঁচাতে পারলেও, ভেতরে থাকা আরেক বাচ্চাকে বাঁচাতে পারেননি স্টেফানিরা। আরও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সহায়তায় মিনিভ্যানটির জানালার কাঁচ ভেঙেও ১২ বছর বয়সী সে মেয়েকে বাঁচানো যায়নি। মিনিভ্যানের চারজনেরই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।