• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মজুরির চেয়ে বেশি টাকা ঘরে বসেই পাবেন পাটকল শ্রমিকরা-প্রধানমন্ত্রী

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২০  

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা মাসে যে মজুরি পেত তার চেয়ে বেশি টাকা মুনাফা হিসেবে ঘরে বসে পাবে। তবে এ টাকা প্রতি তিন মাস অন্তর তুলতে পারবে। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের পাটের যারা শ্রমিক, তাদের যে মজুরির টাকা পাওনা ছিল, সব মিটিয়ে আমরা একবারে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। সব টাকা তাদের হাতে দেব না। কারণ নগদ টাকা দিয়ে দিলে তখন দেখা যাবে মেয়ের জামাই, ভাই, ভাতিজা, আত্মীয়-স্বজন সব এসে হুমড়ি খেয়ে পড়বে এবং ভাগ চাইবে। আমি বলেছি, অর্ধেকটা সঞ্চয়পত্র করে দেব। পারিবারিক সঞ্চয়পত্র, যেখানে তারা ১১ শতাংশের মতো পাবে। সেখানে ভালো টাকা প্রতি তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক পাবে, যা প্রতিদিন সে কাজ করে মাসে মজুরি পেত, তার চেয়ে বেশি টাকাই পাবে। সেটা আমরা হিসেব করছি, যা পাওনা ছিল সেটা আমরা সব শোধ করে দেব।

নতুন করে পাটকলগুলো চালুর পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এটাকে নতুনভাবে করব, এখানে যারা আগ্রহী তাদের আমরা আবার ট্রেনিং দেব। ট্রেনিং দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে তাদের তৈরি করব। পাটকল চালু হলে অভিজ্ঞতা যাদের আছে, তারাই নতুন করে চাকরি পাবে।

বাংলাদেশ পাটের জন্মরহস্য উন্মোচন, গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন পাটজাত পণ্য আবিষ্কারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেগুলো আমাদের উৎপাদন করতে হবে। সেগুলো আমাদের দেশের কাজে লাগবে, বিদেশে রফতানি হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য যেহেতু সিনথেটিক থেকে সবাই এখন মুক্তি চায় সেখানে পাট হচ্ছে একটা বিকল্প। সেখানে আমাদের একটা বিশাল সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপী রয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে সময়োপযোগী করতে হবে, আধুনিক করতে হবে, নতুন করতে হবে।

বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সেগুলোকে সময়োপযোগী, আধুনিক করে গড়ে তোলার কথা জাতীয় সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নতুন আঙ্গিকে পাটকলগুলো চালু হলে অভিজ্ঞকর্মীদেরই সেখানে চাকরি হবে। এজন্য তাদের আধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণও দেয়া হবে।

দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে থাকা ২৬টি পাটকল সম্প্রতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব পাটকলের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিককে তাদের শতভাগ পাওনা মিটিয়ে দেয়া হবে।