• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে ইসির বিশেষ কমিটি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম বলেছেন, ‘ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে বিশেষ কমিটি করা হয়েছে। প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্যসহ আলাদা রোহিঙ্গা ডাটাবেজ স্থাপন করা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অনুসন্ধানে একটি টিম পাঠানো হয়। পরবর্তীতে অনুসন্ধান টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তের জন্য ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কারিগরি কমিটি এবং একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রতিনিধি রয়েছে। অধিকতর তদন্তের সুবিধার্থে একজন যুগ্মসচিবের নেতৃত্বে প্রশাসনিক কমিটি গঠন করা হয়। উভয় কমিটিতে বহিঃসংস্থার সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

ডিজি বলেন, ‘ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি রোধ একার দায়িত্ব না, এটা সামগ্রিক বিষয়। এটি নিয়ে বিশেষ কমিটি কাজ করছে। আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। ইসির কর্মকতাদেরও নজরদারি করা হচ্ছে। আর এনআইডি নিতে যেসব দলিল লাগে সেগুলো কীভাবে রোহিঙ্গারা পায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

দ্বৈত ভোটার নিবন্ধন রোধে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বৈত ভোটার পাওয়া গেলে প্রাথমিকভাবে বিধি মোতাবেক প্রথমটি রেখে পরবর্তী ভোটার তথ্য ব্লক করে দেয়া হয়। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তথ্য গোপন করে দ্বৈত ভোটার হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ইতোমধ্যে ৯২৭ জনের এনআইডি লক করা সহ ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এর ধারা ১৪ ও ১৫ অনুসারে নির্বাচন কমিশন ফৌজদারি মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছে। এছাড়াও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এর ধারা ১৬ ও ১৭ অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী দায়িত্বে অবহেলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ২ লাখ ৭ হাজার দ্বৈত ভোটার শনাক্ত করেছি। সবার বিষয়গুলো আমরা অবজার্ভ (পর্যবেক্ষণ) করছি। আমরা দেখছি, উদ্দেশ্য কী ছিলে? তবে আমরা সবার বিরুদ্ধে মামলা করিনি, করবও না। যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। তবে কেউ যদি সে বিষয়ে কমিশনে আবেদন করেন, সেটি আমরা যাচাই-বাছাই করে কারণ জানব যে কোন উদ্দেশে তারা এটি করেছে। সেটি আমরা কমিশনকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেব। যারা দ্বৈত ভোটার হয়েছেন আমরা তাদের নোটিফাইড করছি। এসএমএসের মাধ্যমেও তাদের জানিয়ে দিচ্ছি।’