• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ভার্চুয়াল আদালতে মোট ৫৩৬ শিশুর জামিন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২০  

করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) পর্যন্ত মোট ২৫ কার্যদিবসে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে মোট জামিন প্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৫৩৬ জন। এ পর্যন্ত অভিভাবকের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ৪৭১ জন শিশুকে।

১১ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মোট ২৫ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট ৭৩,১১৬ টি জামিন আবেদন করা হয় এবং ৩৯,২০২ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

এর আগে করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত একমাসে সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালতে মোট ৪৮৯ শিশুকে জামিন দেয়া হয়। গত ১১ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ২০ কার্যদিবসে জামিন পাওয়া এসব শিশুর মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৬০ জনকে তাদের অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। দেশের তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে এসব শিশুকে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে নিয়মিত আদালত বন্ধ। এ প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে। এই আবেদন পাবার পর রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার আলোকে আইন মন্ত্রণালয় গত ৯ মে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে সশরীরে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে গেজেট প্রকাশ করে। এই অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আদালতকে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়। এর পরদিন ১০ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিনই ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ এবং অধস্তন আদালতের জন্য আলাদা আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ এবং আইনজীবীদের জন্য ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন নিম্ন আদালতের শুধুমাত্র জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দিয়ে একইদিন পৃথক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

এরপর ১১ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে শুধুমাত্র সীমিত আকারে নির্দিষ্ট কিছু আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ৩০ মে’র পর আদালতের সংখ্যা ও এখতিয়ার বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকে সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব আদালতে শুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে।