• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

বিসিক শিল্পনগরীতে সাবানের কাঁচামাল উৎপাদন অব্যাহত

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২০  

 

 করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতির মধ্যে সাবান তৈরির প্রধান কাঁচামাল সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সিরাজগঞ্জ শিল্পনগরীতে। করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সাবানের উৎপাদন ও সরবরাহ কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে বিসিক এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।

রোববার (১৯ এপ্রিল) বিসিকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে ১০ থেকে ১১টি প্রতিষ্ঠান সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করে থাকে। এগুলোর মধ্যে উত্তরবঙ্গে একমাত্র বিসিক শিল্পনগরী, সিরাজগঞ্জে অবস্থিত মেসার্স জেবুন্নিসা কেমিক্যালস লিমিটেড সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানাটি চালু রেখে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলার সাবান তৈরির কারখানাগুলোতে সোডিয়াম সিলিকেট সরবরাহ করা হচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে বিসিক শিল্পনগরী, সিরাজগঞ্জের শিল্পনগরী কর্মকর্তা শ্রী জয় প্রকাশ বলেন, গত ১৮ মার্চ থেকে এ যাবত প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করেছে জেবুন্নিসা কেমিক্যালস, যার মূল্য ৮০ লাখ টাকা।

বিসিকের শিল্প সহায়ক কেন্দ্র, সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে কারখানাটি সীমিত পরিসরে চলছে। বর্তমানে জেবুন্নিসা কেমিক্যালস প্রতিদিন ১৫ মেট্রিক টন সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে কারখানটি প্রতিদিন প্রায় ৩০ মেট্রিক টন সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করতো। বর্তমানে করোনাসংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে কারখানাটিতে ৩৬ শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন বলে জানান তিনি। 

এ প্রসঙ্গে মেসার্স জেবুন্নিসা কেমিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. আজিম সিদ্দিকী জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২ এপ্রিল কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে শিল্পনগরী কর্মকর্তা ও বিসিক কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় গত ১৬ এপ্রিল থেকে কারখানাটি পুনরায় চালু করা হয়। 

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই বিসিক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে কারখানাটি চালু করা হয়েছে। কারখানাটি বছরে প্রায় ১৭ কোটি টাকা মূল্যের সোডিয়াম সিলিকেট উৎপাদন করে থাকে বলে জানান আজিম সিদ্দিকী।