• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ইতিহাসের এই দিনে

বিপিন পালের জন্ম-অশ্বিনীকুমারের প্রয়াণ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৯  

 

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে  পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৭ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার। ২২ কার্তিক ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৬৬৫- ব্রিটেনের সরকারি প্রকাশনা দ্য লন্ডন গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯৮৯- কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত পূর্ব জার্মান সরকার ইস্তফা দেয়।
১৯৮৮- আর্মেনিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে অর্ধ লক্ষাধিক লোকের প্রাণহানি।

জন্ম
৯৯৪- প্রখ্যাত মুসলিম দার্শনিক ইবনে হাজম।
১৭২৮- ব্রিটিশ নৌ-সেনাপতি ও অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জেমস কুক।
১৮৫৮- ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিন চন্দ্র পাল।

তিনি একাধারে দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ, বাগ্মী, সাংবাদিক ও লেখক। জন্মেছিলেন সিপাহী বিপ্লবের এক বছর পরে হবিগঞ্জের সদর উপজেলার পইল গ্রামে। তার বাবা রামচন্দ্র পাল। তিনি ছিলেন পইল গ্রামের মাঝারি জমিদার। বঙ্গভঙ্গ পরে স্বদেশী আন্দোলন ভারতব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। বিপিন পাল ছিলেন এ আন্দোলনের অন্যতম নেতা। ১৯০৭ সালে তিনি ‘বন্দে মাতরম বিদ্রোহ মামলায় অরবিন্দ ঘোষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করায় ছয় মাস কারাভোগ করেন।

১৮৬৭- নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ মেরি ক্যুরি।
১৮৭৯- সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজান্ত্রিক বিপ্লবী লিওন ত্রোতস্কি।
১৮৮৮- ভারতীয় নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন।
১৯১৩- নোবেলজয়ী আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ফরাসি সাহিত্যিক অ্যালবার্ট কাম্যু।
১৯৫৪- ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা কমল হাসান।
১৯৭৮- ব্রিটিশ ফুটবলার রিও ফার্ডিনান্ড।
১৯৭৯- ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা সেন।

মৃত্যু
১৮৬২- মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর।
১৯২৩- বাঙালি রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও লেখক অশ্বিনীকুমার দত্ত।
মানবপ্রেম ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে তার ভূমিকার জন্য তিনি সুপরিচিতি লাভ করেন। সমাজের কল্যাণ ও উন্নয়নের প্রতি গভীরভাবে নিবেদিত হয়ে তিনি বরিশাল শহরের মধ্যে নিজের দান করা এলাকায় ব্রজমোহন বিদ্যালয় ও ব্রজমোহন কলেজ (বিএম কলেজ) প্রতিষ্ঠা করেন। সহিষ্ণু সমাজসেবা তাকে স্থানীয় জনগণের কাছে খুবই প্রিয় করে তোলে। 

তিনি এমন জনসমর্থন লাভ করেন, যা তাকে ১৯০৫-১৯১১ সালের বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের সময় সংকীর্ণ জেলা পর্যায় থেকে বৃহত্তর প্রাদেশিক রাজনৈতিক অঙ্গনে নিয়ে যায়। একজন কংগ্রেস সদস্য হিসেবে বরিশালে এক আলাদা সমর্থক গোষ্ঠী নিয়ে তিনি শহরের দ্বন্দ্ব-কলহ এবং উদারপন্থি ও চরমপন্থি দ্বন্দ্ব থেকে নিজেকে সতর্কতার সঙ্গে দূরে রাখেন। অশ্বিনীদত্ত এ উদ্দেশে তার নেতৃত্বাধীন স্বদেশবান্ধব সমিতির নামে গড়ে তোলা স্বদেশী স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্যে বরিশালকে স্বদেশী আন্দোলনের একটি শক্তিশালী কেন্দ্রে পরিণত করেন। সেজন্য তাকে বরিশালে গ্রেফতার করা হয়। তিনি দু’বছর পর্যন্ত লক্ষ্মৌ জেলে বন্দি থাকেন। স্বদেশবান্ধব সমিতির মুখপত্র হিসেবে বরিশাল হিতৈষী প্রকাশের পেছনে তিনি সহায়ক ছিলেন।

১৯৭৫- বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক খালেদ মোশাররফ।
১৯৭৫- বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার এটিএম হায়দার।