• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ও বেআইনি দখল ছাড়তে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২১  

১৯৭৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ বিল আদায়, অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে পরিত্যক্ত বাড়ি ও ভুয়া রেশন কার্ড উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কারণ খবর পাওয়া যায়, প্রায় কয়েক কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে আছে এবং প্রায় ১৫ হাজার বাড়ির বেআইনি দখলদারিত্ব রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর গৃহীত ব্যবস্থায় যদি কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়া যায় তবে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগ করে বা কারফিউ জারি করে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে ৩০ জুনের পরবর্তী কারফিউ ও তল্লাশির সুসমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণ কল্পে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।

টেলিফোন ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বলা হয়, বকেয়া বিল আদায় না হওয়ার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। টেলিফোন ব্যবহারকারী এবং বিদ্যুতের বিল পাঠানোর কর্তব্যে যে কর্মকর্তারা অবহেলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে এসব দাবি আদায়ের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বেআইনি টেলিফোনের মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন বঙ্গবন্ধু। নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রদত্ত নির্দেশে বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে ৩০ দিনের মধ্যে পরিত্যক্ত বাড়ির দখলদারমুক্ত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া নির্দেশে বলা হয়, ডিলারদের কাছ থেকে রেশন কার্ড উদ্ধার করতে হবে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের লাইসেন্স বাতিল এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব দোকানে রেশন কার্ড পাওয়া যাবে, সেসব দোকান তদারকির দায়িত্বে নিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের সমস্ত এলাকার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বেআইনিভাবে লাইসেন্সধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ভুয়া রেশনকার্ডধারীদের ঠেকাতে বঙ্গবন্ধুর ডাক

যাবতীয় ভুয়া রেশন কার্ড নিকটস্থ রেশন অফিসে ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে ও খাদ্য সংক্রান্ত দুর্নীতির কথা রেশন অফিসকে জানানোর আহ্বান জানানো হয়। এ নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে বিবৃতিও ছাপা হয়। তাতে বলা হয়- ‘ভুয়া রেশন কার্ড করবেন না, রেশন নেবার সময় রশিদের সঙ্গে জিনিস মিলিয়ে নিন। মনে রাখবেন ১৫ দিনের মধ্যে কার্ড জমা না দিলে আইন অনুসারে দণ্ড দেওয়া হবে।’

 নিম্নমানের কাপড় আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

এক সরকারি প্রেসনোটে বলা হয়, আমদানি লাইসেন্স-এর অধীনে বেসরকারি খাতে কাপড় আমদানি নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এই ধরনের খবর জনসাধারণের মনে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে। তা দূর করার জন্য পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেওয়া হয়- ওজিএল-এর অধীনে আমদানি নগদে করতে হবে। সরকার অনুমোদিত ন্যূনতম মানের নমুনা চেয়ে কম মানের কাপড় যেন আমদানি না হতে পারে সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টেক্সটাইল কমিটি ভারতের কাপড় পরীক্ষা করে দেখবে। ভারত সরকারের টেক্সটাইল কমিশনারের দফতরকে যথাযথভাবে পরীক্ষার কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়।