• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বাবার লাশ বাড়িতে রেখে ছেলে গেলেন বিয়ে করতে!

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

 


বাড়িতে পড়ে আছে বাবার কফিনবন্দি লাশ। এদিকে মন্দিরে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ছেলে। 

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার উত্তর দিয়ারা গ্রামে।

কিন্তু ছেলের ভাষ্য, বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতেই এদিন বিয়ে করতে রাজি হন তিনি। তবে বুধবার মন্দিরে কোনওরকমে বিয়ে সেরে এসেই সোজা শ্মশানে ছুটলেন ছেলে।
মঙ্গলবার বাদুড়িয়ার দেয়াড়া গ্রামের অসিতবরণ মণ্ডলের (৬৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। জানা গেছে, মৃত অসিতবরণ মন্ডল ও স্ত্রী আলো দেবীর একমাত্র সন্তান কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল। কয়েক মাস আগে আলোদেবী ও অসিতবাবু ছেলে কৃষ্ণেন্দুর বিয়ে ঠিক হয়েছিল গড়িয়াহাটের কালিকাপুর এলাকায় মণিকা সাহার সঙ্গে। বুধবার ছিল তাদের বিয়ে। বিয়ের তোড়জোড়ও শেষ হয়েছিল। বাড়িতে আত্মীয়রা এসে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই বিপত্তি।

আয়োজনের মধ্যেই মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন অসিতবরণবাবু। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। পাত্র কৃষ্ণেন্দু বাবার মৃতদেহ নিয়ে সৎকারের পরিকল্পনা করছিলেন। সে সময় মা আলোদেবীই ছেলেকে বিয়ে করার কথা বলেন। মায়ের কথায় বিয়েতে রাজি হন ছেলে কৃষ্ণেন্দু।

বুধবার বাড়িতে স্বামীর লাশ বরফ চাপা দিয়ে ছেলেকে বরের পোশাক পরিয়ে পাশের মন্দিরে হাজির হন আলোদেবী। পাত্রীপক্ষ খবর পেয়ে কনেকে নিয়ে ওই মন্দিরে অপেক্ষা করছিলেন। ঠাকুরমশাই মন্ত্র পড়ে চার হাতে এক করে দেন।

কৃষ্ণেন্দু বলেন, “বাবা-মায়ের কথায় এবং একটি মেয়ের সম্মানের কথা ভেবে বিয়ে করলাম।” আলো দেবী বলেন, “স্বামী তো চলে গিয়েছে। কষ্ট হচ্ছে কিন্তু একজন নারী হয়ে আরেক নারীর সম্মান রক্ষা করাই আমার মূল লক্ষ্য।” বিয়ে শেষে বাবার লাশ জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নতুন দম্পতি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন