• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

বশেমুরবিপ্রবির সাবেক ভিসি এবার দুদকের মুখোমুখি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সদ্য পদত্যাগ করা উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম, নিয়োগ–বাণিজ্য, কেনাকাটায় দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি।

দুদক সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্ল্যাহকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছে দুদক। শিগগিরই সাবেক ওই উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে।

শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৩০ অক্টোবর পদত্যাগ করেন বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি। তাঁকে উপাচার্যের পদ থেকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।

বেশ কিছুদিন ধরে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ, ভর্তি ও কেনাকাটা থেকে শুরু করে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখতে বহিষ্কার, অশোভন আচরণ, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার ঘটনা নিয়েও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শুধু তা-ই নয়, উপাচার্যের মতো একটি সম্মানিত পদে থাকা খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির মতো গুরুতর অভিযোগ নিয়েও গণমাধ্যমে সংবাদ হয়েছে। এমনকি উপাচার্য তাঁর বাসভবনের কাছে একটি বিউটি পারলারের অনুমোদন দিয়েও আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন।
সবশেষ অভিযোগ হলো, প্রশাসনের নির্দেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে, যার প্রতিবাদে তাঁরই প্রশাসনের দুজন সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আন্দোলন নামেন। আন্দোলনের মুখে ৩০ অক্টোবর পদত্যাগ করেন উপাচার্য।