ফরিদপুর ভাঙ্গা হতে অপহরণ চক্রের ৫ সদস্য আটক, ভিকটিম উদ্ধার

র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩ মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে,  এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল শফিপুর এলাকায় হতে মুরগী কিনে তার লোকজনসহ গত ১৪ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় পিকআপ ভ্যান ভাড়া নিয়া মুরগী দেওয়ার জন্য পটুয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গাগামী মহাসড়কে হামিরদী নামক ব্রীজের পাশে ভোরে  তার পিকআপ ভ্যানটির গতিরোধ করে অপহরণর করে নিয়ে যাচ্ছে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ এর একটি চৌকশ দল গতকাল ১৫ তারিখ ভোর ৫.৩০টার সময় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানাধীন হামিরদী গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণ চক্রের সক্রিয় ০৫ সদস্য ১। মুরাদ হোসেন(২৯), পিতাঃ নূরুল ইসলাম হাওলাদার,  সাং-করিম হাওলাদার কান্দি, ২। রাশেদ মিয়া(২১), পিতাঃ নূরুল ইসলাম হাওলাদার, সাং- করিম হাওলাদারকান্দি, ৩। রাসেল খা(২১), পিতাঃ মাহিম খা, সাং- ধুতারা, ৪। সোহাগ হাওলাদার(২২), পিতাঃ মোঃ মোবারক হাওলাদার, সাং-করিম হাওলাদারকান্দি, ৫। ইমরান হোসেন@ শাহজাহান(৪৫), পিতাঃ মোঃ সাদেক আলী মোড়ল, সাং- হাজী মদন মোড়লের কান্দি, সর্ব থানাঃ শিবচর, জেলাঃ মাদারীপুর’দেরকে আটক করেন। এসময় অপহৃত ০৩ ভিকটিম যথাক্রমে ১। পিন্টু(২৯), পিতাঃ ফজলুর রহমান খান, সাং-লক্ষীপাশা, থানাঃ বাকেরগঞ্জ, জেলাঃ বরিশাল, ২। মোঃ সবুজ হাওলাদার(২৬), পিতাঃ মন্টু হাওলাদার, সাং-গাবয়ী, থানাঃ মির্জাগঞ্জ, জেলাঃ পটুয়াখালী, ৩। মোঃ সাইদুল গাজী(২২), পিতাঃ মৃত জালাল গাজী, সাং-কালিথাবাড়ী, থানাঃ বেতাগী, জেলাঃ বরগুনা’দেরকে উদ্ধার করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, আসামী মুরাদ হোসেন এবং ভিকটিম পিন্টু একত্রে মুরগীর ব্যবসা করতো। পরবর্তীতে ব্যবসায়িক লেনদেন জনিত কারনে আসামী মুরাদ ভিকটিম পিন্টু উভয় ব্যবসা হইতে আলাদা হইয়া যায়। কিন্তু ভিকটিমের সাথে আসামী মুরাদ হোসেন এর ব্যবসায়িক লেনদেন থেকেই যায়। উক্ত লেনদেনের জের ধরে ভিকটিম পিন্টু(২৯) নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাথের উদ্দেশ্যে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস ভিকটিম এর পিকআপ ভ্যানের গতিরোধ করে চালককে কিল ঘুষি মেরে গাড়ীটি থামিয়ে ফেলে এবং পিকআপসহ ভিকটিমকে অপহরণে চেষ্টা করে। র‌্যাব-৮ এর একটি চৌকশ দল গতকাল ১৫ই জুন ভোর আনুমানিক ৫.৩০ টার সময় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানাধীন হামিরদী এলাকা থেকে অপহরণ চক্রের সদস্যদেরকে আটক করেন। আটককৃত আসামীদেরকে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ সংক্রান্তে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।