• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২০  

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালা-২০২০ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার।

রোববার সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, এ নীতিমালা কার্যকর হলে প্রতিবন্ধীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সহমর্মিতার আরেকধাপ অগ্রগতি হবে। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তির পক্ষে প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সহজলভ্য হবে।

নীতিমালার পটভূমিতে বলা হয়েছে, এদেশের সংবিধানে বর্ণিত সকলের সমানাধিকার, মানবসত্তার মর্যাদা, মৌলিক মানবাধিকার ও সামাজিক সাম্যপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার এবং ‘United Nations Convention on the Rights of the Persons with Disabilities’ এর অনুসমর্থণ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন এবং সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে “প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩” প্রণীত হয়েছে।

এ আইনের ৩১(১) ধারামতে প্রতিবন্ধীদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদানের নির্দেশনা থাকায় ২০১৩ সাল থেকে সকল প্রতিবন্ধীর তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের জন্য নিয়মিতভাবে ‘প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচি’ পরিচালনা করা হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিবন্ধীদের তথ্যসংগ্রহের জন্য ওয়েবসাইট এপ্লিকেশনসহ ‘Disability Information System’ (DIS) আওতায় একটি ওয়েবসাইট (www.dis.gov.bd) চালু করা হয়েছে, যা প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষ ও সংস্থা কর্তৃক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের এ তথ্যভাণ্ডার ব্যবহারের চাহিদার প্রেক্ষিতে একটি তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা জরুরি হয়ে পড়ে। এছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ছবিসহ তথ্যসম্বলিত তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত করে যাবতীয় তথ্যাবলী সকল প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের ব্যবহারোপযোগী করা ‘প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচি’র অন্যতম উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্যে চাহিদাকৃত তথ্য-উপাত্তের ব্যবহারের পথ সুগম করার জন্যই এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণাল সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

এর আগেও খসড়াটি প্রণয়নে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং ১১টি মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়া হয়।