• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রতিজ্ঞা পালন করতে গিয়ে ৪৮ বছর বনবাসে ৭১ বছরের বৃদ্ধ!

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০  

 

 

জীবনসঙ্গী ছাড়া জীবন কাটানো কষ্টকর। তাইতো প্রতিটি মানুষ বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হন সারাজীবন সুখে থাকার আশায়। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সঙ্গে জীবনের সব সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেন। তবে সবাই যে বিবাহিত জীবনে সুখী হয়, তা কিন্তু নয়। অনেকের জীবনেই বিয়ে সুখ বয়ে আনে না। পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকে।

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। যেখানে স্ত্রীর ওপর রাগ করে ৪৮ বছর বনবাসে আছেন ৭১ বছরের এক বৃদ্ধ! ১৯৬৮ সালে কেন্নাচাপ্পা গৌড়া নামের সেই বৃদ্ধ ঘর ছেড়েছিলেন। এরপর থেকে একা একাকি প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে সুলিয়া এলাকার মারগাঞ্জ অভয়ারণ্যে বাস করছেন তিনি।

সম্প্রতি ভারতের একটি টিভি চ্যানেলের অনুসন্ধানে উঠে আসে ওই ব্যক্তির বনবাস জীবন কাহিনী। এরপর তাকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবর প্রকাশ হতে থাকে।

 

কেন্নাচাপ্পা গৌড়ার বনবাস

কেন্নাচাপ্পা গৌড়ার বনবাস

ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজে প্রকাশিত, ২২ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালে বিয়ে করেছিলেন কেন্নাচাপ্পা। স্ত্রী উমা ছিলেন অতি রাগী প্রকৃতির নারী। একদিন কথা কাটাকাটির কারণে স্ত্রী পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে তার গায়ে হাত তোলেন। সেদিন রাগে-ক্ষোভে কেন্নাচাপ্পা বনবাসী হন। বাড়ি ছাড়ার সময় তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, যতোদিন পর্যন্ত উমা মারা না যাবেন ততোদিন তিনি বাড়ি ফিরবেন না। এরপর হতে বনে বনেই কাটছে ৭১ বছর বয়েসী এই বৃদ্ধের।

আরো জানা যায়, যে নারীর জন্য ঘর ছেড়েছেন কেন্নাচাপ্পা সেই নারী তার স্ত্রী এখনো জীবিত। কয়েক বছর আগে স্বামীর সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। তবে জানার পরও স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে যাননি তিনি। এমনকি তার একমাত্র ছেলেকেও বাবার কাছে যেতে দেননি উমা।

অন্য একটি টিভি চ্যানেল ইন্ডিয়া টাইমসকে কেন্নাচাপ্পা গৌড়া জানান, নারকেল পাতা দিয়ে বানানো একটি ছোট্ট ঘরে বসবাস করেন তিনি। জঙ্গলে কৃষিকাজ করে উৎপন্ন আলু দিয়ে বানানো খাবার খেয়েই কাটে তার জীবন। এভাবেই এতোটি বছর বেঁচে রয়েছেন কেন্নাচাপ্পা!