• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

পূর্বাচল প্রকল্পে কূটনীতিক জোন হচ্ছে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২১  

পূর্বাচল প্রকল্পে একটি কূটনীতিক জোন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, রাজধানী শহরে নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান, যে কারণে ঢাকা শহর চারদিকে দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে। এদিকে দূতাবাস স্থাপনের জন্য নতুন নতুন চাহিদার বিপরীতে ঢাকার গুলশান ও বারিধারা কূটনৈতিক জোনে পর্যাপ্ত জমির সংকুলান করা অতি দুরূহ। এমতাবস্থায় পূর্বাচলে দূতাবাস স্থাপনের জন্য নির্ধারিত কূটনৈতিক জোন গড়ে তোলা প্রয়োজন হতে পারে।

জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় দূতাবাস/হাইকমিশন অফিস স্থানান্তরের জন্য কয়েকটি দূতাবাস/হাইকমিশনের জমির চাহিদা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১০টি বিদেশি দূতাবাসের প্লটের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিশেষত ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কুয়েত, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান তাদের দূতাবাস স্থাপনের সূচনালগ্ন থেকেই এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। এছাড়া ঢাকায় অবস্থিত ৫০টি কূটনৈতিক মিশনের মধ্যে যারা বরাদ্দপ্রাপ্ত অথবা নিজেদের কেনা জমি ব্যবহার করছে না, তারাও আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে মর্মে ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।

বিভিন্ন মিশনের স্থায়ী অফিস নির্মাণে জমির অপ্রতুলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউকসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় চলছে। রাজউক থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ইতোমধ্যেই একটি ডিপ্লোম্যাটিক জোন করা হয়েছে।

নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশে একটি কনস্যুলার অফিস স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সম্মতি চেয়েছে। হাঙ্গেরির আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাস স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

ঢাকা-১১ আসনের এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা মোকাবিলায় আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে কোনও আইন সহায়তা কেন্দ্র/ডেস্ক নেই। তবে মিশনসমূহ সব ধরনের আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত বাজেটে আলাদা একটা বাজেট কোড রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ওই বাজেট কোডের বিপরীতে আট কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রবাসে জেলে আটকে পড়া কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় পড়া বাংলাদেশিদের সহায়তা করার জন্য দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত চাহিদা মোতাবেক মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে।