• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

পুরোপুরি চালু হলো রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বন্দর

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২০  

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অদূরে পদ্মা নদীতে তৈরি করা বন্দরটি পুরোপুরি চালু হয়েছে। এতে পরমাণু কেন্দ্রটি নির্মাণ ও চালু করতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জামাদি এবং জ্বালানি তেল এই বন্দর দিয়ে নির্মাণ স্থানে পৌঁছবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোসাটমের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়ে।

সেখানে বলা হয়েছে, পদ্মা নদীর এই বন্দর স্বাভাবিকভাবে সচল রয়েছে, গ্রহণ করছে নির্মাণ সামগ্রীবাহী কার্গো।

প্রকল্পের সহ-সভাপতি ও পরিচালক এস. জি. লাসতোচকিন বলেন, ‘চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে এই বন্দর দিয়েই কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর কম্পার্টমেন্টের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অংশ যেমন, ভিভিইআর-১২০০ (VVER-1200) চুল্লিপাত্র, চারটি স্টিম জেনারেটর ও বিভিন্ন ভারী যন্ত্রপাতি ওঠা-নামানোর জন্য পোলার ক্রেন সরবরাহ করা হবে।’

এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য যন্ত্র-সরঞ্জামাদিবাহী কার্গো সমুদ্রপথে সেন্ট পিটার্সবার্গ ও নভোরোসিয়েস্ক থেকে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে জাহাজে করে নদী পথে পদ্মায় অবস্থিত নৌবন্দরে নেয়া হবে। সেখান থেকে এরপর নেয়া হবে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের র্নিমাণস্থলে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পদ্মা নদীর এ বন্দর তৈরিতে সময় লেগেছে দেড় বছর। এর আয়তন ১৫০/৩৫০ মিটার। বছরের বিভিন্ন মৌসুমে নদীতে পানির গভীরতায় ১০ মিটারের পার্থক্য ধরে মেপে বন্দরটির তৈরি করা হয়েছে। এমনকি মৌসুমে পদ্মা নদীতে সর্বোচ্চ পরিমাণে পানি নিচে নেমে গেলেও বন্দরঘাটে সর্বনিম্ন সাড়ে তিন মিটার পানির গভীরতা থাকবে। এই গভীরতায় বছরের সব সময় জাহাজ থেকে কার্গো নামানো যাবে। বর্ষা মৌসুমে বন্দরে বড় আকারের জাহাজও ভেড়ানো যাবে।

বর্তমানে বন্দরটিতে দুটি ক্রেন রয়েছে যেগুলো ৬৩ টন ধারণক্ষমতার। ৩০৮ টন ধারণ ক্ষমতার আরও দুটি ভারী ক্রেন যুক্ত করা হবে বন্দরটিতে।